কম কথা বলার ৮ টি উপকারিতা | 8 Qualities Of Less Speaking People | Art Of Speaking | Motivation |
এক মহান ব্যক্তি বলেছিলেন যে একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি শুধু তখনি বলে. যখন তার কাছে বলার কিছু থাকে.
কিন্তু এরই ওপর দিকে একজন মুর্খ ব্যক্তি এই জন্যে বলে কারণ সে বলতে চায়.
বলা রোগের অনেক ধরণ আছে. যদি আপনার মনে হয় যে আপনি কম কথা বলেন. আর এই কম কথা বলার অভ্যাসটি আপনার বড় একটি দোষ. তাহলে হয়তো এই পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জেনে যাবেন যে আপনার এই চুপ থাকা এবং কম কথা বলার অভ্যাসটির ব্যাপারে আপনার যে দৃষ্টিভঙ্গি আছে তা একেবারেই বদলে যাবে. আর আপনি আর আপনি পাবেন যে কম কথা বলা এবং চুপ থাকার গুণটি আপনাকে অন্যান্যদের তুলনায় অনেকটা বুদ্ধিমান এবং সফল বানাতে পারে
দেখুন কম কথা বলার মানে এ নয় যে আপনি কম ভাবেন
কম বলার মানে এ নয় যে আপনি কম বোঝেন
আর কম কথা বলার মানে এও নয় যে আপনি বেশি পরিশ্রম করতে চান না
আজ এই পোস্ট আপনি একটি এমন কোয়ালিটিকে জানতে চলেছেন. যা কেবলমাত্র কম কথা বলা লোকেদের মধ্যেই পাওয়া যায়.
প্রথম হলো এই যে কম কথা বলার লোকেরা বেশি বুদ্ধিমান হয়. যখন আপনি যখন আপনি চুপ থেকে কারো কথাকে শোনেন বোঝেন তো সামনের ব্যক্তিটি তার কথাকে আপনার সামনে বলার সুযোগ পায় আর সামনের ব্যক্তিটি এটা ভাবে না যে আপনি একজন মূর্খ ব্যক্তি. আপনি শোনেন জন্যেই আপনার সামনে সে বলতে ভালোবাসে. কারণ এই কারণে এই পৃথিবীতে ভালো শ্রোতার সংখ্যা খুবই কম. আর যেহেতু আপনি একজন গুড লিসেনার. তাই সামনের ব্যক্তিটি ভাবে যে আপনি তার কথায় ভ্যালু দিচ্ছেন আপনি বুঝছেন তাকে. কারণ আপনি একজন বুদ্ধিমান ব্যাক্তি. আর যখন বাইরে থেকে কেউ আপনাকে বুদ্ধিমান ভাববে তো আপনার নিজের মধ্যেও confidence বেড়ে যাবে. আপনি বুঝতে পারবেন যে চুট থেকে কারো দুঃখের অংশীদারি হওয়া মূর্খতা নয়. বরং বুদ্ধিমানের কাজ. মনুষ্যত্ববোধের কাজ. আর এই বুদ্ধিমত্তা সত্যিই অনেক ভালো. তো এবার আপনিই বলুন যে কম কথা বলা কি কোন দোষ? নাকি গুন?
দ্বিতীয় গুণ. যা কম কথা বলা লোকেদের মধ্যে পাওয়া যায়. তা হল. এরা অনেক ইন্টেলিজেন্ট হয়. কারণ কম কথা বলা লোকেরা. একবারেই নিজের সম্পূর্ণ কথাকে বলতে জানে. এক লাইনে নিজের বক্তব্যকে রাখার কৌশল. কম কথা বলা লোকেদের মধ্যেই থাকে. যে কম শব্দ দিয়ে নিজের বক্তব্যকে রাখতে পারে. নিজের কথাকে বোঝাতে পারে. তাকে ইন্টেলিজেন্ট নয় তো আর কি বলবেন? আমাদের যে ভাবনা গুলি আছে সেগুলি অনেকটা concentrated acid এর মতো. এবং আমাদের শব্দ অনেকটা জলের মতো. আপনি concentrated acid এ যতই জল মেশাতে থাকবেন সেই জল ততই dialogue হতে থাকবে. অর্থাৎ প্রয়োজনের থেকে যত বেশি শব্দকে আপনি বলবেন ততই কম আপনার ভাবনাকে সামনের ব্যাক্তিটি বুঝবে. যদি যদি আপনি নিজের feelings কে কাউকে strongly বোঝাতে চান তাহলে আপনি যতটা সম্ভব কম শব্দকে ব্যবহার করে সে মনের ভাবকে বলুন. তাকে গল্প শোনাতে হবে না লোকেরা কম কথা বলা ব্যক্তিদের কথাকে ভালোভাবে ধ্যাম দিয়ে শোনে. তাদের কথাকে বোঝে.
তৃতীয় গুণ হল এই যে কম কথা বলা লোকেরা অনেকটা ফ্রেন্ডলি হয়. কারণ এরা অনেক সৎ মনের হয়. এবার আপনি হয়তো ভাবছেন যে আমি তো খুব কম কথা বলি. আমার সাথে আবার কে বন্ধুত্ব করবে. but reality হলো এই যে কম কথা বলা লোকেরা বেশি approachable হয়. তারা কথাকে শুনতে ও বুঝতে জানে. তারা যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই বলে. এই কারণের জন্যেই সে অন্যকে নিজের কথায় ইরিটেটও করে না. আর না তো লোকেদের সময় নষ্ট করে.
তো এবার আপনিই বলুন যে কম কথা বলা লোকেরা কি confrindly হয়?
নাকি বেশি friendly হয়?
বন্ধুত্বের ফান্ডাই হলো এই এ যেন একে অপরের কথা কে বুঝে যেন একে অপরকে শুনে তাই না তবে হ্যাঁ জানি আপনার ফ্রেন্ড সার্কেল খুবই সিলেক্টিভ. কিন্তু যারা আপনার বন্ধুও আছে. যে কয়জন আছে তাদের সাথে আপনার আন্ডারস্ট্যান্ডিং কতটা ভালো আছে. সেটা একবার ভেবে দেখুন.
কম কথা বলা লোকেদের চতুর্থ গুণ হল এই. যে এদের মধ্যে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে. যারা কম কথা বলে তাদের মধ্যে patients ধৈর্য প্রচুর পরিমাণে থাকে. প্রচুর থাকে. এরা ফালতু কথায় নিজের সময় নষ্ট করে না. এই জন্যেই এদের টাইম ম্যানেজমেন্ট একদম ফার্স্ট ক্লাস থাকে. কম কথা বলা লোকেরা বলায় নয় বরং কাজ করে দেখিয়ে দেওয়াতে বিশ্বাস করে. যতটা টাইম সে বলে ওয়েস্ট করে দিত. ততটা টাইমকে সে কাজে লাগাতে পছন্দ করে. কম কথা বলার কারণে. এরা সহজেই কোন ঝামেলাতেও জড়ায় না. যার ফলে এদের mental peace ও disturb হয় না. যার কারণে এরা নিজের কাজের উপর ভালোভাবে concentrate করতে পারে.
তো যদি একজন ব্যক্তির মধ্যে এতগুলি গুণ একসাথে মিলে কাজ করে তো আপনি বলুন যে সফলতা পাওয়া কি তার কাছে কোন কঠিন কাজ?
কম কথা বলা লোকেদের পঞ্চম গুণ হল এই. যে এরা বাকি লোকেদের তুলনায় অনেকটা বিশ্বাসযোগ্য হয় দেখুন কোন গোপন কথা ততক্ষণ অবধি গোপন থাকবে. যতক্ষণ পর্যন্ত সেটি মনের মধ্যে থাকবে. কম কথা বলা লোকেদের প্রাইভেসি খুবই স্ট্রং হয় এদের মনের ভেতর কি চলছে তা জানতে পারা সাধারণ লোকেদের কাছে বেশ কঠিন কাজ. যার কারণে এরা কখনোই এমন কোনো কথাকে বলে ফেলে না যাতে এদের privacy loose হয়ে যায়. আর অন্যজন তার সেই গোপন কথার সুযোগ নেয়. তারা কোনদিনই এমন কোন কথাকে কাউকে বলে না. যাতে পরে সেটার আফসোস হয়. আর এই গুনটি তাদেরকে সব থেকে বেশি ট্রাস্টেবেল তৈরি করে. কারণ এরা আপনার কথাকে ভালোভাবে শুনবেও. বুঝবেও. নিজের বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তার সমাধানও খুঁজবে. আবার সেটিকে গোপন ও রাখবে. কাউকে ভুল কাউকে বলবেও না.
কম কথা বলা লোকেদের ষষ্ঠ গুণ এরা কোনদিনই কারো সাথে তর্কে জড়ায় না. এরা নিজের self respect কে সব সময় maintain রাখে. দেখুন আমরা কারো সাথে তর্কে কখন জড়াই কখন লোকেরা আমাদেরকে হালকাভাবে নিতে শুরু করে. যখন আমরা তাদের সামনে না ভেবেচিন্তে পাগলের প্রলাপের মতো কথা বলতে থাকি. বা না ভেবে চিনতে তাদেরকে এমন কথা বলে ফেলি যার সুযোগ তারা পড়ে নেওয়া শুরু করে. আর তারা আমাদেরকে হালকাভাবে নিতে শুরু করে. আসলে হয় কি?
যখন কোন ব্যক্তির সাথে আপনার চেনা পরিচিতি বাড়তে শুরু করে. যখন আপনারা কাছাকাছি হন তখন এই জিনিসটির সম্ভাবনাও খুব বেড়ে যায়. সামনের ব্যক্তির সাথে আপনার এক এমন কথা হলো যার কারণে আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধা কমে গেল. কিন্তু যারা কিন্তু যারা কম কথা বলে তারা কোনদিনই কারো সাথে কোন প্রকার তর্কে জড়ায় না. এদের self respect আছে. আর অপরেরাও এদেরকে respect দেয়. কারণ এরা তাদেরকে না ভেবে চিনতে এমন কোন কথা বলে না. যার কারণে এদের রেস্পেক্ট কমে যায়.
কম কথা বলা লোকেদের সপ্তম গুণ হলো এই. যারা একা থাকতে কোনদিনই ভয় পায় না. আর এদের personality তে সবসময় এক positive vibe থাকে. দেখুন কম কথা বলা লোকেরা, মানুষের সাথে বেশি interact করে না মানুষের সাথে বেশি intact না করার কারণ নেই. এদের কাছে যা extra সময় থাকে তা সম্পূর্ণই এদের নিজেদের জন্যে থাকে. এরা এদের ম্যাক্সিমাম টাইম নিজেদের সাথে স্পেন্ড করে. নিজেকে সময় দেয়. মানে এরা একা থেকে নিজের একাকীত্বকে সলিউডে কনভার্ট করে নেয়. অর্থাৎ একা খুশি থাকার কৌশল. একা থেকে সফল হওয়ার কৌশল, একা থেকে স্ট্রং হওয়ার কৌশল. আর এরা এই কৌশলে এতটা মাস্টার হয়ে যায় যদি আপনি এদেরকে এক হাজার লোকের মধ্যে ছেড়ে দেন. বা একটি নির্জন দ্বীপে ছেড়ে দেন. এদের কোন প্রবলেম নেই. এরা সবসময় নিজেকে কানেক্ট রাখে. এরা সবসময় নিজের এক্সিস্টেন্সকে জানে. আর এরা এদের এই স্পেশ্যাল কৌশল বা আইডেন্টিটির ওপর গর্বও করে. এই জন্যই এদের কোনো যায় আসে না যে কেউ এদের সঙ্গ দেবে কি দেবে না.
কম কথা বলা লোকেদের অষ্টম গুণ হল এই. যে এরা খুবই peaceful হয়. খুবই শান্ত হয়. বলা লোকেদের শত্রুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে. যত কম কথা আপনি বলবেন ততই কম প্রমিস আপনি লোকেদেরকে পড়বেন. যত যতই compromise আপনি লোকেদেরকে করবেন, ততই কম আপনি লোকেদেরকে করা promise. এবং তাদের expectation কে ভাঙবেন. কারণে আপনি অনেকটা শান্তিতে peacefully থাকতে পারবেন. এই পৃথিবীতে যত ক্ষতি কম কথা বলে হয়েছে তার থেকে হাজার তার থেকে হাজার গুণ বেশি ক্ষতি হয়েছে বেশি কথা বলে. থেকে ভুল করে যদি কোনো শব্দ বেড়িয়ে যায় তো সামনের ব্যক্তিটি আপনাকে ছেড়ে কথা বলবে না.
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.