২০২৩ এ দুর্ভিক্ষ? - 2023 ee Durvikkho? |
দুর্ভিক্ষের কথা একটু পর উচ্চারণে বললে শুনতে খুব একটা খারাপ লাগে না এই ইকোনমির যে যে সেকশন গুলো আছে সবগুলো একটা আরেকটার সাথে খুব ভালো রকমের কানেক্টেড অবস্থায় থাকে. এই সেকশনগুলোর যেকোনো একটা যদি ড্যামেজ হয় তাহলে পুরো ইকোনমিতে এটার প্রভাব পড়ে তা ছাড়া একটা দেশের সিদ্ধান্ত অন্য দেশের ইকোনমিতে প্রভাব ফেলতে পারে
2023 সালে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অনেক দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে. এই কথাটা হয়তো আপনি শুনেছেন যদি শুনে না থাকেন তাহলে এই ব্যাপারটা নিয়ে জানা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী. 2023 সাল নিয়ে আইএমএফের প্রজেকশনের দিকে যদি তাকাই আমরা. আমরা দেখবো যে আমাদের দেশে 2021 অর্থ বছরে economic growth ছিল. 6.9%. 2022 অর্থ বছরে economic growth ছিল 7.2%. very good কিন্তু 2023 অর্থ বছরে economic growth হতে পারে only 6% আমার লাভ লস নাই. জীবনটাই লস. আর আমরা যদি ইনফ্লেশান রেটের দিকে তাকাই 2021 অর্থ বছরে ইনফ্লুয়েশন রেট ছিল 5.6%. ওকে? 2022 অর্থ বছরে 6.1% ওকে. এবং সব শেষে 2023 অর্থ বছরে influction rate হতে পারে. low economic growth এবং high impleation rated combination এ কস্ট অফ লিভিং অনেক বেড়ে যাবে অলরেডি বেড়ে গিয়েছে. 2023 সালে এই ব্যাপারটা আরো সিরিয়ার হতে পারে. দুর্ভিক্ষের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত হচ্ছে খাদ্য. কোভিডের সময় একটা লাফ মেরেছে. এরপরে ইউক্রেন রাশিয়ার গেঞ্জামে আরেকটা বিশাল লাফ মেরে এই ফুড ক্রাইসিসে এখনই আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে. এই অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে. আমাদের ব্যবসায়ীরা কাস্টমার না খুঁজে মুরগি খোঁজে তিতি তিতি.
এই যে দুর্ভিক্ষ আশঙ্কা করা হচ্ছে এর কারণগুলো কি?
প্রথমত ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ. অনেক ডেভেলপিং দেশ আছে যারা রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করে জন্য এই আমদানিটা ব্যাহত হচ্ছে. এবং এই যুদ্ধের জন্যই অ্যানার্জি ক্রাইসিস সৃষ্টি হয়েছে এবং ইকোনমিক ফাংশনের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে
দ্বিতীয় কারণটা হতে পারে রিজার্ভে যথেষ্ট পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা না থাকা. যে সকল দেশ বিদেশ থেকে আমদানি করে নিজেদের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে সে সকল দেশের রিজার্ভে যদি যথেষ্ট পরিমান বৈদেশিক না থাকে তাহলে লং রানে তারা খাদ্য আমদানি করতে পারে না.
তৃতীয় কারণটা হতে পারে ইনফ্লুয়েশান. মানে আপনার টাকার মান কমে যাওয়া.
চতুর্থ কারণটা হতে পারে আবহাওয়া. অনেক দেশে আবহাওয়ার জন্য ডোমেস্টিক ফুড প্রোডাকশান কমে গিয়েছে তা ছাড়া ডোমেস্টিক ফুড প্রোডাকশনের জন্য যে সকল র ম্যাটেরিয়ালস প্রয়োজন যেমন সার যন্ত্রপাতি ইত্যাদি. এগুলো কিন্তু আমদানি করা হয়. এই ব্যাপারটাও মাথায় রাখা লাগবে.
এখানে চমৎকার একটা ব্যাপার আছে. আমি যে কারণগুলো বললাম এগুলোর দিকে যদি ভালো মতো লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন যে এক একটা কারণ অন্য সব কারণগুলোর সাথে এক ধরনের ত্রিভুজ প্রেমে জড়িয়ে আছে. মানে যেকোনো একটা কারণ যদি ঘটে তাহলে বাকি সবগুলো কারণ ফিগার হয়ে যায়. এটা সবচেয়ে বেসিক উদাহরণটা হচ্ছে ধরুন fuel কস্ট বেড়ে গিয়েছে.fuel কস্ট বেড়ে যাওয়া মানে ওভারঅল প্রোডাকশন কস্ট বেড়ে যাওয়া ওভারঅল প্রোডাকশন কস্ট বেড়ে যাওয়া মানে কোনো পণ্যের খুচরা মূল্য বেড়ে যাওয়া খুচরা মূল্য বেড়ে যাওয়া মানে আপনাকে বেশি দামে পণ্যটা কেনা লাগছে. বেশি দামে পণ্যটা কেনা লাগা মানে আপনার সেভিংস কম হচ্ছে এভাবে এটা চলতে থাকবে.
তাহলে এই সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় আমাদের করণীয় কি কি হতে পারে প্রথমত আমাদের রিয়্যাক্টিভ না হয়ে প্রো অ্যাক্টিভ হওয়া লাগবে. প্রিভেনশান ইজ বেটার দ্যান কিয়ার?
আমাদের সকলের উচিত সকল প্রকার আননেসেসারি জিনিসপত্র পেছনে অর্থ ব্যয় করা বন্ধ করা. ইউ হ্যাভ টু চুজ বিটু ইন হোয়াট ইউ নিড প্রসেস হোয়াট ডু ইউ ওয়ান. এর পরের সমাধানটা হতে পারে আমাদের ডোমেস্টিক ফুড প্রোডাকশন বাড়ানো. মানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে কথাটা বলেছিলেন যে এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে. অনেকে হাসি তামাশা করছে. বাট দিস ইজ ট্রু. এটার জন্য আমাদের এগ্রো ফর্মগুলো পদক্ষেপ নিতে পারে. সরকারিভাবেও পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে. তবে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে যে জিনিসটা নিশ্চিত করা লাগবে সেটা হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে যেন এই পদক্ষেপগুলো প্রপারলি এপ্লাই হয় সে ব্যাপারটা নিশ্চিত কর কারণটা হচ্ছে যারা ডিসিশন মেকিং এ থাকেন তারা অত্যন্ত শিক্ষিত হয়ে থাকেন আর তারা অন্তত কোনো ঘটনার সিরিয়াসনেসটা বুঝতে পারেন. কারণটা হচ্ছে যখন ডিসিশনগুলো ওপর থেকে চেইন অফ কমান্ডের মাধ্যমে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত যায়. তখন মাঠ পর্যায়ের যে দায়িত্বরত লোকেরা আছে ওনারা অতটা শিক্ষিত হয় না কিংবা ওনারা ঘটনার গভীরতা বোঝেন না. এই জন্য দেখবেন যে সরকারি অনুদানের টাকা ঠিকই গিয়েছে. কিন্তু মাঠ পর্যায়ে গিয়ে মেম্বার আর চেয়ারম্যান মিলে অনুদানের টাকা খেয়ে ফেলছে. এরপরে যে ব্যাপারটা করা যেতে পারে সেটা হচ্ছে পাবলিক প্যানিক না ছড়িয়ে গণমাধ্যমগুলো ব্যাপক হারে প্রচারণা চালাতে পারে যে মানুষ যাতে সেভিংস করে যাতে আননেসেসারি খরচ না করে এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদী না থাকে সমস্যাটা হচ্ছে গণমাধ্যমগুলো যে এই পয়েন্টগুলোর প্রচারণা চালাবে এই ব্যাপারটা খুব একটা প্র্যাকটিক্যাল না কারণ আমাদের দেশের ব্র্যান্ড এবং কোম্পানিগুলো এই ব্যাপারগুলোর প্রচারণা চালাতে দিবে না. কারণ মানুষ যদি আননেসেসারি খরচ বাদ দিয়ে দেয়.
এই প্রজেকশন যদি ভুল হয় আমার এই পোস্ট যদি ভুল হয় আমার থেকে বেশি খুশি কেউ হবে না. তবে আমাদের খারাপ কিছুর জন্য প্রিপেয়ার হয়ে থাকা খারাপ কিছু না. আপনার audience যত ছোটই হোক না কেন, আপনি at least আপনার অডিয়েন্সদের একটু সতর্ক করে দিতে পারেন সিরিয়াসলি.
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.