Elon Musk |
এলান মাস্ক যিনি Tesla এবং space x এর মতো বড় বড় কোম্পানির মালিক. তিনি পৃথিবীর সব থেকে ধনী ব্যক্তিদের লিস্টে এবং অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোজের থেকেও উপরে. আর বর্তমানে ইনিই হলেন পৃথিবীর সব থেকে ধনী ব্যক্তি.
তবে যে ব্যক্তির নাম 2020 এর সব থেকে ধনী মানুষের লিস্টে টপ টেনের মধ্যেও ছিল না তার নাম 2021 এর শুরুর দিকেই এই লিস্টের সবার উপরে উঠে এলো কিভাবে? চলুন আজকের আর্টিকেলে আমরা এলন মাস্কের জীবন এবং তার কিছু
achievement সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি.
বর্তমানে এলন মাস্ক 211 billion $ dollar এর মালিক. এই টাকা টা যে কত বেশি সেটা আপনি লেখার শুরুতে একটা example থেকেই বুঝতে পেরেছেন. কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে এলন এত বেশি উন্নতি কিভাবে করলেন?
জানার ইচ্ছা যেমন আমার মধ্যে এসছিল আমার মনে হয় আপনার মনেও এটা জানার ইচ্ছে আছে. টেকনোলজি এবং কম্পিউটারের সাথে এলন মাস্কের সম্পর্ক অনেক ছোটবেলা থেকেই. মাত্র ১২ বছর বয়সেই তিনি একটা বেসিক ভিডিও গেম তৈরি করে
একটা বড় কোম্পানির কাছে 500$ ডলারে বিক্রিও করেছিলেন. যেটা সেই সময় অনুযায়ী একটা অনেক বড় ব্যাপার ছিল. ইউনিভার্সিটি অফ পেন্সিল ভিনিয়া থেকে তিনি 1997 ইকোনমিক্স এবং ফিজিক্সে ব্যাচেলার্স ডিগ্রি পেয়ে যান.
তার জন্য নেট স্কেপ নামক একটা কোম্পানির কাছে তিনি চাকরির জন্য এপ্লাই করেন. কিন্তু ওই কোম্পানি এলন মাস্ককে কোনো রিপ্লাই দেয়নি. তার পর পরেই তিনি স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটির পিএইচডি প্রোগ্রামে জয়েন করেন. তবে পিএইচডি প্রোগ্রাম জয়েন করার মাত্র দু দিনের মধ্যেই তিনি স্ট্যান্ডফোর্ড এর মতো বড়ো ইউনিভার্সিটি ছেড়ে বিজনেস করার প্ল্যান করেন এরপরে তিনি তার ভাইয়ের সাথে Zip2 নামক একটা সিটি গাইড ওয়েবসাইট খোলেন তাদের এই কোম্পানির কাছে মাত্র একটা কম্পিউটার ছিল কারণ দ্বিতীয় একটা কম্পিউটার কেনার পয়সা তাদের কাছে ছিল না
ওই কম্পিউটার থেকে দিনের সময় ওয়েবসাইট চলতো এবং রাতের বেলা ওই ওয়েবসাইটটাকে মেনটেন করার কাজ চলতো. শেষমেষ তাদের দুই ভাইয়ের পরিশ্রম কাজে আসে. এবং 2000 সালে কম্প্যাক্ট zip2 নামক তাদের এই কোম্পানিটাকে 307 Million $ ডলারে কিনে নেয়.
এরমধ্যে এলন মাক্স পাই 22 million $ ডলার. যা আজকের সময় প্রায় 170 কোটি টাকার কাছাকাছি. কিন্তু তখনও পর্যন্ত কেউ জানতো না যে কে এই এলন মাস্ক. এরপরে জীবনে তিনি কি কি achievement করতে চলেছেন. এই টাকা দিয়ে এলন মাস্ক একটা অনলাইন ব্যাংক তৈরি করতে চেয়ে ছিলেন.
এর জন্য তি x dot com বলে একটা ওয়েবসাইট খোলেন. যা কিছু সময় পর paypal এর নামেতে মার্কেটে লঞ্চ হয়ে যায়. তারপর 2002 তে paypal কে eby প্রচুর টাকা দিয়ে কিনে নেয়.
যার মধ্যে এলন মাস্কের ভাগে আসে 165 million $. 2002 তেই এলন মাস্ক space x নামক একটা কোম্পানি খোলেন. যার উদ্দেশ্য ছিল মহাকাশে স্পেস ট্রাভেলকে আরো ইজি করা. এরপর তাঁরা শুধু রকেট ডিজাইনিং এবং টেস্টই করেনি. তার সাথে nasa এর মতো বড়ো agency র cargo তারা space পর্যন্ত পৌঁছেছে. আর আমরা সবাই জানি যে এলন মাস্কের এই space x ই হলো সেই কোম্পানি. যারা মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে.
এলান মাস্ক তো এটাও বলেছে যে যদি তাকে তার সব কিছু বেঁচেও দিতে হয়. তবুও সে বেঁচে দেবে কিন্তু মঙ্গল গ্রহে মানুষের কলনি তিনি বানিয়ে ছাড়বেন. space x এরল সাথে সাথে তিনি আরো চারজনের সাথে একটা ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির কোম্পানিও শুরু করেন. যাকে আজ সারা পৃথিবীর নামে Tesla
নামে জানে. এলন মাস্কের এই Tesla বর্তমানে পৃথিবীর সব থেকে বড় গাড়ি তৈরি কোম্পানির সাথে কমপ্পিটিশন করছে এবং তাদের পিছনেও ফেলে দিচ্ছে. কোনরকম ফিউল ছাড়ায় চলা এই ইলেকট্রিক গাড়িগুলো শুধু যে এনভায়রনমেন্টের জন্যই ভালো তা নয়.
বরং ফিউলের খরচাও বাঁচিয়ে দেয়. তারপর এটা শুধু ফিউল ছাড়াই অপারেট হয় এরকম নয়. এর মধ্যে অটো পাইলট টেকনোলজিও আছে. যার সাহায্যে কোনরকম কোন ড্রাইভার ছাড়াই কোন যাত্রী এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে. টেসলার গাড়িতে যে সমস্ত ব্যাকসিগুলো ইউজ হয় সেগুলো অনেক অ্যাডভান্স এবং high tech.
এই কারণে এই গাড়িগুলো একবার চার্জে 520 কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে. তার মানে একবার চার্জ করলে আপনি কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত চলে যেতে পারবেন. মানে আপনি একবার কল্পনা করে দেখুন একটা ব্যাটারি চালিত গাড়িতে করে. কোনো রকম ফিউল ছাড়া মাত্র একবার চার্জেই আপনি কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন. আর এই গাড়িটা চার্জ হওয়ার জন্য যে ইলেকট্রিসিটি দরকার হয় তার খরচ ফিউলের থেকে প্রায় সিক্সটি পার্সেন্ট কম.
এলন মাস্ক শুধু এখানেই থেমে থাকে না. টেসলার সাকসেসের পর তিনি sterling নামক একটা প্রজেক্টও লঞ্চ করেন. এর সাহায্যে তিনি দাবী করেন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ইন্টারনেট প্রদান করার. এই স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবী থেকে মাত্র 500 কিলোমিটার উপরে ফ্লাই করবে এবং
পৃথিবীর দুর্গম থেকে দুর্গম জায়গাতেও ইন্টারনেটের সুবিধা দিতে পারবেন. অন্য কোনো স্যাটেলাইট এতো নিচে ফ্লাই করে না. এই কারণে এই স্যাটেলাইটগুলোকে আপনি রাতের আকাশে যেতেও দেখতে পারেন. তাঁর প্ল্যান অনুযায়ী টোটাল বারো হাজার স্যাটেলাইট সারা পৃথিবীকে সার্কেল করে থাকবে.
এবং পৃথিবীর এরকম কোন জায়গা থাকবে না যেখানে ইন্টারনেট পাওয়া যাবে না. যার মধ্যে এক হাজার ছশো স্যাটেলাইট অলরেডি লঞ্চ করে দেওয়া হয়ে গেছে. এবং স্টার লিংক প্রোগ্রামে অ্যাক্টিভও আছে. এবং পৃথিবীর অনেক জায়গাতেই স্টার লিংকের beta প্রোগ্রাম শুরুও হয়ে গেছে.
এই নিউজটা সারা পৃথিবীতে যখন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে যায় তখন মানুষ খুব দ্রুত গতিতে Tesla কোম্পানির শেয়ার কিনতে শুরু করে. এজন্য দেখতে দেখতেই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যে শেয়রের দাম 250$ ডলার ছিল. তার দাম বেড়ে 800$ ডলারের কাছাকাছি হয়ে যায়.
আমেরিকার স্টোক মার্কেটের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেয়। এই সব কিছুর পর 2020 এ যার নাম ধনী মানুষদের লিস্টে টপ টেনেও আসতো না 2021 পড়তে পড়তে তার নাম একেবারে টপে চলে যায়
অন্যান্য বিলিয়ানাদের থেকে এলন মাস্ক একেবারেই আলাদা। না আছে তার কাছে গোল্ড প্লেটেড বাথরুম এত ধনী ব্যক্তি তার উপার্জন কিভাবে খরচ করে আপনি যদি ইন্টারেস্টেড থাকেন তবে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন।
ইলন মাস্কের কোম্পানির এমপ্লয়ি যতক্ষণ ফ্যাক্টরিতে থাকে এলন মাস্ক তার থেকে বেশি সময় ফ্যাক্টরিতে কাটায় এমনকি রাতে শোবার সময়ও তিনি ফ্যাক্টরির সোফাতেই শুয়ে পরেন
তিনি বলেন যে তার নিজের ফ্যাক্টরিতে শুতে বেশি কম্ফোর্টেবল মনে হয়. তিনি সবসময় আপটুডেট থাকেন যে কাজ কিভাবে চলছে. এবং কোম্পানিতে অন্য কোন এমপ্লয়িদের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা. এলান মাস্কের সাকসেসের এই লম্বা স্টোরিটাকে এই ছোট্ট আর্টিকেল এর মাধ্যমে যদি দেখে আপনার ভালো লাগে
তবে কমেন্ট করতে আর অন্য বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে একদম ভুলবেন না.
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.