Technology |
কেমন হতো?
যদি আপনার ব্রেনের সকল ডাটা কোন মেমোরি কার্ড বা হার্ড ডিস্কে কপি করে রাখা যেত.
এতদিন সাইন্স ফিকশন মুভিগুলোতে এটা দেখে এসেছেন.
কিন্তু 2045 সালের মধ্যে এটি বাস্তবে হবে বলে জানিয়েছেন নিরব বিজ্ঞানীরা. আর তাদের এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য গুগল, পেপাল, ওড়াকল সহ বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠান বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে যাচ্ছে.
অনেকে হয়তো ভাবছেন এটা কিভাবে সম্ভব 500 বছর পূর্বেও মানুষ কল্পনা করতে পারতো না যে আজকের আমরা ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের কথা বলবো.
প্লেনে করে উড়বো. এখনো যাদের বিশ্বাস হচ্ছে না শুধুই ভাবছেন আমার ব্রেনের মেমোরি অন্য ডিস্কে কিভাবে কপি করে রাখা যাবে. তাদের জন্য বিষয়টি ব্যাখ্যা সহ বর্ণনা করবো.
সেদিন আর দূরে নয় যেদিন আর পড়াশোনা করতে হবে না. মৃত্যুর পরেও আপনার স্মৃতি রোবট বা অন্য মানুষের মাঝে ট্রান্সফার করা যাবে. আপনি চাইলে আপনার কষ্টের স্মৃতিগুলো কম্পিউটারের মতো ডিলিট করতে পারবেন. বাহ! কি মজা তাই না? চলুন এবার বর্ণনায় যাওয়া যাক.
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ব্রেনে 90 billion নিউরন থাকে. একটি নিউরন থেকে অপরটির কানেকশন যদি গণনা করেন তবে 3 million বছর সময় লাগবে. বৈদ্যুতিক তার যেমন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বিদ্যুৎ পরিবহণ করে. ঠিক তেমনি নিরনগুলো শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ. যেমন চোখ, কাঁধ, মুখ সহ বিভিন্ন সংবেদনশীল থেকে তথ্য নিয়ে brain এ পৌঁছায়. আর এই signal গুলো হলো electrical ও chemical. অন্যদিকে কম্পিউটারেও electrical signal এর মাধ্যমে data পাস হয়.
এখন প্রশ্ন হতে পারে ব্রেনের এত জটিল তথ্য পরিবহনের দ্রুততা ও বিশাল জায়গার মতো hard disk বা মেমোরি কার্ড কি সম্ভব?
উত্তর হলো হ্যাঁ
ইতিমধ্যেই পজিটিভ সুপার কম্পিউটার মানবব্যান্ডকে ছাড়িয়ে গেছে. যেখানে মানব ব্যান্ডের স্প্রে থ্রি পয়েন্ট ফাইভ কোয়ার্ড উইলিয়ান বাইট সেখানেই সুপার কম্পিউটারের স্পেস. থার্টি কোয়ার্ড রিলন বাইটস.
আবার যেখানে মানব ব্রেনের ডাটা ট্রান্সফার রেড তেরো মিলি সেকেন্ড সেখানেই সুপার কম্পিউটার এর চাইতে দশ গুণ স্পিডে ডাটা টান্সফার করে যেহেতু ব্রেনের চেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে সেহেতু এখন শুধু ব্রেনকে কপি করার পালা
যেটাকে নিরো সায়েন্টিস্টরা নিরো ট্রান্সমিশন নাম দিয়েছে. ইতিমধ্যে এই পদ্ধতিতে ইঁদুরের ব্রেনের স্মৃতিকে কপি করে রাখা সম্ভব হয়েছে. এবং এটা নিয়ে গবেষণা চলছে. ইঁদুরের ব্রেনের সাথে মানুষের ব্রেনের 95% মিল আছে.
তাই ইঁদুরের ওপর যখন প্রদেশ সফল হয় তখন মানুষ আর দেরি নয়. ঠিক এই message টি গবেষকদের প্রকাশ করার পর এই বিষয় নিয়ে বেশ কিছু movie বের হয়েছে. তার মধ্যে একটি তামিল movie মায়া বোন.
এই মুভির মূল থিম হলো একজন নিউরো বিজ্ঞানী যে কিনা নিজের ব্রেনে ডাটা কপি করে সেটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন ইন্সটল করে রাখে. এরপর কম বয়সী কোন যুবককে ধরে এনে তার
ইনজেকশনের মাধ্যমে নিউরো ট্রান্সমিটার সেট করে রাখে. বিজ্ঞানীটি মারা গেলে তৎক্ষণাৎ ফাইবার অপটিকের মাধ্যমে সে ইঞ্জেক্ট করা তথ্য কম বয়সী যুবকের ব্রেনে যায়. এবং যুবকটির নিজস্ব স্মৃতিগুলো ডিলিট হয়ে বিজ্ঞানীর স্মৃতি জমা হয়ে যায়.
সাথে সাথে ছেলেটি বিজ্ঞানীর কপি হয়ে যায়. এভাবে বিজ্ঞানীটি মারা যাওয়ার পরেও বিভিন্ন শরীরে স্থানান্তরিত হয়. বিষয়টি জিনে ধরার মতো.
আসলে আমাদের ব্রেন কিন্তু কিছু জমা হওয়ার স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়. আমাদের পরিচয় আমাদের স্মৃতি. এই স্মৃতি অন্য কোন মানুষ বা রোবটের মধ্যে স্থানান্তরিত করা হলে আপনি মারা যাওয়ার পরেও হাজার হাজার বছর টিকে থাকবেন আপনার স্মৃতির মধ্য দিয়ে.
আমরা এক মানুষ থেকে আর এক মানুষ দেখতে আলাদা হলেও আমাদের ভিতর বাহিরে সবকিছু কিন্তু একই. আর আমাদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন পার্সোনালিটি আইডেন্টিটি তৈরি করেছে ধীরে ধীরে জমে থাকা এই স্মৃতিগুলো. তাই স্মৃতি বা মেমোরি সবকিছু.
যেমনটা একটি কম্পিউটারের hard disk অন্যটিতে লাগানো যায়. একটি মেমোরি বিভিন্ন মোবাইলে লাগানো যায়. তেমনি মানুষেরই স্মৃতি বা মেমোরি যদি ট্রান্সপ্লান্ট করা যায়. তবে মানুষকে বদলে ফেলা সম্ভব. তখন আর পড়াশোনা করার দরকার হবে না. ইচ্ছে মতো ডাটা জমা রাখা যাবে, মুছে ফেলা যাবে. এবং ডাউনলোড করার মতো সব কাজ করা সম্ভব.
আপনার দুঃখের স্মৃতিগুলো বদলিয়ে অন্যের আনন্দ ভ্রমণ করার মুহূর্ত এবং বিভিন্ন অনুভূতি কপি পেস্ট করতে পারবেন. এই প্রজেক্ট এতটাই সফল বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে যে মাত্র 25 বছর মানে 2045 সালে এটি কোনোরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সবার কাছে পৌঁছিয়ে দেবে.
এজন্য বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলো বিলিয়ন বিলন ডলার ইনভেস্ট করে ফেলেছে.
কোম্পানিগুলো এই ব্যাপারে কি বলেছে.
মানুষের স্মৃতিকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখতে আমরা এই রিসার্চে 425 billion $ .বাংলাদেশি টাকায়, 300 কোটি টাকার মতো invest করেছি. এটি 2045 সালের মধ্যে আমরা পেয়ে যাব.
আপনাকে সারা জীবন চায়.
Google.
আমি মৃত্যুর পরেও হাজার বছর বেঁচে থাকতে চাই আমার স্মৃতির মাধ্যমে.এজন্য আমরা 2500 কোটি টাকা ইনভেস্ট করেছি.
লেরিয়ালি সন ওয়াকলসিও বিশ্বের পঞ্চম ধ্বনি ব্যক্তি. 2045 সালের মধ্যে মানুষদের স্মৃতি কম্পিউটারে জমা রাখতে পারবে. এজন্য আমরা 4000 কোটি টাকা ইনভেস্ট করেছি.
ডিমে থ্রি এস্কোপ রাশিয়ান বিজনেসম্যান.
আমি মৃত্যুর পরেও অনেক বছর বেঁচে থাকতে চাই. আর এজন্য এই প্রোজেক্টটি হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত.
তাইতো ছোটবেলা থেকেই এটি রচনা সবাই পড়ে আসছি. মানব জীবনে বিজ্ঞানের আশীর্বাদ ও অভিশাপ.
আশা করি লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে.
ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন.
কোন বিষয় জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন. আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব.
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.