sugar |
মিষ্টির কথা মাথায় আসতেই সবার আগে আমাদের মনের যে খাদ্যটি ভেসে ওঠে তা হলো চিনি। যেকোনো খাবারের মিষ্টতা আনতে চিনির বিকল্প খুব কমই রয়েছে। হয়তো এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যে মিষ্টি খেতে পছন্দ করে না।
কারণ অল্প হলেও আমরা সবাই মিষ্টি খেতে ভালোবাসি. তবে এই মিষ্টির মূল উপাদান চিনির বিষয়ে আমরা কতটুকুই বা জানি. এর ইতিহাস কি? কিভাবে তৈরি করা হয় চিনি. এবং চিনি উৎপাদনের জন্য কোন কোন প্রসেসিং এর মধ্য দিয়ে যেতে হয়. তা জানাবো আজকের এই আর্টিকেলে.
চলুন শুরু করা যাক। চিনি কি দিয়ে তৈরি হয়? আঁখ বা একোর রস থেকে চিনি তৈরি করা হয়। এছাড়া বিট এবং ম্যাপল চিনির অন্য দুটি প্রদান ও বনদোস। তবে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানত আঁখ বা একুর রস থেকে চিনি তৈরি করা হয়।
খ্রিস্টপূর্ব এক হাজার বছর আগে অন্যের অনশনে মানুষের সঙ্গে সঙ্গে একটুও অভিবাসিত হয় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সুদূর আফ্রিকা থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে এক্ষু ভারত আর পারস্য উপসাগরের এলাকায়
প্রবেশ করে. কিছু গবেষক ও ঐতিহাসিকদের মতে বিশ্বে আঁখ চাষের ইতিহাস চার হাজার বছরেরও বেশি সময় পুরনো হলেও চিনের আবিষ্কার আর ব্যবহার. ভারত উপমহাদেশেই প্রথম. ষোলোশো শতাব্দীতে আঁখের চাষ শুরু হয় ভারতে.
বলা যায় ইতিহাসের গোড়া থেকেই. তাই সভ্য জগতের চিনির প্রচলন ভারত থেকে শুরু হয় বলে গবেষক ও ঐতিহাসিকদের একাংশ মনে করেন. আবার অনেকেই বলেন যে বর্তমানে সাদা চিনি চীন থেকেই আসে.
আখের রস থেকে খ্রিস্টান পরিশোধন করে সাদা চিনিতে রূপান্তরের পদ্ধতি চীন থেকেই প্রথম আসে. তাই এর নাম চিনি. শুরুতে চিনির ব্যবহার এশিয়াতেই ছিল. পরবর্তীতে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলগুলোতে.
চিনি কিভাবে তৈরি করা হয়?
চিনি তৈরির সর্ব প্রথম ধাপ হচ্ছে আঁখ সংগ্রহ করা. তারপর আখগুলোকে নিয়ে যাওয়া হয় সুগার ইন্ডাস্ট্রিতে. এখানে এনে ভালো করে পিষে এর থেকে বেশি মাত্রায় রস বের করা হয়. রস থেকে চিনি তৈরি করতে প্রথমে পঁচাত্তর ডিগ্রি পর্যন্ত গরম করা হয়.
তাতে মিল্ক অফ লাইন মেশানো হয় এর একমাত্র কারণ এটাই যে এসিডিটি কম হয়ে যায় তারপর পুনরায় একশো চল্লিশ ডিগ্রি সেল্টি গ্রেডে গরম করে তা লোড করা হয়. যেখানে রসের মধ্যে অনেক ধরনের কেমিক্যাল এবং আরো কিছু মিশানো হয়.
কিছু সময় পর কেমিক্যাল নিচে বসে যায়. যার ফলে আমরা পরিষ্কার অংশ দেখতে পাই. এবার পরিষ্কার পাউডারগুলো উপরে চলে আসে. এগুলোকে হাই টেম্পারেচারের মাধ্যমে ফোটানো হয়. তারপর
তারপর আলাদা হয়ে যায়. আর পরিণত হয় চিনিতে. আরো বেশি পরিমাণে শক্ত করার জন্য মেশিনে পাঠানো হয়. যেখানে চিনি তৈরি হয়ে যায় এরকম কিছু অংশে রেখে দেওয়া হয়. আর চিনির রং ক্রিস্টাল বা সাদা হয়ে যায়. তারপর চলে পিউরিফাই প্রক্রিয়া.
সর্বশেষ মিছিল থেকে বাইরে বের করে আলাদা আলাদা করা হয়. আর ওখানে বড় এবং ছোট দানাগুলোকে ট্যাগ করে মার্কেটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়. আশা করি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিভাবে জমির আগ থেকে চিনিতে রূপান্তর হয়ে আমাদের মিষ্টি খাবার পর্যন্ত পৌঁছায়.
প্রিয় পাঠক আজ এই পর্যন্তই. শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি. চিনি উৎপাদনের সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে. কোথাও কোনো তথ্যগত ভুল কিংবা আপনার পরামর্শ থেকে থাকলে.
কমেন্ট করে জানাতে পারেন. আবারও দেখা হবে. নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ভালো থাকুন. সুস্থ থাকুন. আল্লাহ হাফেজ.
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.