Touch screen |
যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে স্মার্ট ফোন টেকনোলজি এত স্পেশাল কেন?
তাহলে মনে হয় সবার আগে আপনার মাথায় আসবে টাচ স্ক্রিনের কথা. মোবাইল ফোন আগেও ছিল কিন্তু touch screen technology এর মধ্যে আসার পর থেকে সত্যি এটা স্মার্ট ফোনে পরিণত হয়ে গেছে. বর্তমানে যদি আপনার গাড়ির চাবি কিংবা বাড়ির চাবি হারিয়ে যায় যত না আপনি চিন্তিত হন যদি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায় তার থেকে বেশি চিন্তা হয়.
এর থেকেই বোঝা যায় যে এই স্মার্ট ফোন গুলো আমাদের জীবনের সঙ্গে একেবারে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তাহলে চলুন আজকের পোস্ট এ আমরা জানার চেষ্টা করি যে এই touch screen technology কিভাবে কাজ করে?
বর্তমানে যে সমস্ত মোবাইল ফোন তৈরি হয় সেখানে ট্র্যাডিশনাল কিবোর্ড এবং ডিসপ্লে এর জায়গায় একটা স্ক্রিনকেই ব্যবহার করা হয়. এ ছাড়াও যে সমস্ত গ্যাজেটস আছে যেমন গাড়ির ড্রেস বোর্ড এটিএম মেশিন এমনকি স্মার্টফোনেতেও টাচ স্ক্রিনকেই ব্যবহার করা হয় আর এর সব থেকে স্পেশ্যাল ব্যাপার হলো একে ব্যবহার করা খুবই সোজা. যেকোনো ডিভাইসকে যদি আপনি ব্যাবহার করতে চান তাহলে শুধুমাত্র touch করলেই সেটা কাজ করতে শুরু করে আপনার ইচ্ছা মতো. প্রতিদিনই তো এটাকে আমাদের জীবনে ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এরকম অনেক লোক আছে যারা touch skin কিভাবে কাজ করে সেটা ঠিক করে জানেনা. আর আপনিও যদি জানতে চান যে এই touch screen কিভাবে কাজ করে? তবে পোস্ট টা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন. এবং অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে একদম ভুলবেন না.
তবে সবার আগে জেনে নেওয়া যাক যে এইটা স্ক্রিনটা কি? এটা একটা ইলেকট্রনিক ভিজুয়াল ডিসপ্লে যে display কে আপনি আঙুলের স্পর্শের সাহায্যে control করতে পারেন. আর এই কারণেই একে আপনি একটা input device এর category তেও রাখতে পারেন. আবার এর সাহায্যে আপনি এর display ও দেখতে পারছেন সেই কারণে এটা একটা output device এর category তেও পরে. এইটার screen অনেক ধরনের হয়. তবে আমরা স্মার্ট ফোনগুলোতে যে টাস্ক স্ক্রিন ব্যবহার করে থাকি প্রধানত দুই ধরনেরই হয়. একটা হলো রেজিস্ট্রিভ টাস্ক্রিন এবং অপরটা হল ক্যাপাসিটিভ টাসস্ক্রিন তবে সবার
আগে আমরা কথা বলবো এই ট্রাস্ট স্ক্রিন গুলোর উপরে যে কাঁচটা লাগানো থাকে সেটার ব্যাপারে কারণ এটাও একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ. যাকে প্রটেক্টিভ গ্লাসও বলা হয়ে থাকে. স্মার্ট ফোনের স্ক্রিনগুলো মাঝে মধ্যে ক্র্যাক হয়ে যায়. কিন্তু একবার ভাবুন যে আপনার হাত থেকে ওই ফোনটা কতবার পড়ে গেছিল. যদি যদি একশোবার হাত থেকে পড়ে গিয়ে থাকে তবে মাত্র পাঁচ ছ বারই হয়তো crack হয়ে যায়. আর এর থেকে পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায় এটা নরমাল কাঁচের মতো নয় কারণ এটা সাধারণ কাঁচের থেকে প্রায় পাঁচ গুণ শক্ত হয়
প্রথম স্মার্ট ফোন অর্থাৎ আইফোন যখন 2007 সালে আসে তার আগে মোবাইল স্ক্রিনের প্রটেকশনের জন্য সাধারণ প্লাস্টিককে ব্যবহার করা হতো যদিও প্লাস্টিক ভেঙ্গে যায় না কিন্তু এর ওপর স্ক্র্যাচ পড়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি স্মার্টফোন গুলোর ওপরে যদি কাঁচের জায়গায় প্লাস্টিকের কভার থাকতো তবে কয়েক সপ্তার সপ্তাহের মধ্যেই এর ওপরে বিভিন্ন ধরনের স্ক্রেচ পরে যেত পকেটের মধ্যে আমরা ফোনের সঙ্গে চাবি বা অন্যান্য শক্ত জিনিসও রেখে থাকি. যার সাথে স্মার্টফোনের স্ক্রিনটা সবসময় ঘষা খায়.
তবে প্রশ্ন হলো এই কাঁচগুলো এত বেশি শক্ত হয় কি করে?
স্মার্ট ফোনের কাজগুলো হলো অ্যালুগনাস লিকেট ক্লাস যাকে পটাশিয়াম নাইট্রেটে চারশো ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রেখে আরো শক্ত করা হয়. এর ফলে কাঁচের মধ্যে থাকা ছোট ছোট সোডিয়ামের অ্যাটার্মগুলো সরে গিয়ে সেই জায়গায় পটাশিয়ামের বড় অ্যাটার্ম ঢুকে যায়. যেহেতু potassium এর atom গুলো বড়ো হয় সেই কারণে কাঁচের সারফেসের ওপর এটা অনেক force তৈরী করে এবং কাজটাকে শক্ত করে দেয়. আপনি এটা এরকম ভাবে ভাবতে পারেন যদি একটা গাড়ির পেছনের সিটে তিনটে বাচ্চাকে বসানো যায়. তবে তারা সরে গিয়ে আরো একটা বাচ্চাকে সেই জায়গায় ঢোকানো যেতে পারে. কিন্তু যদি ওই একই জায়গায় তিনটে মোটা মোটা লোককে বসিয়ে দেওয়া হয় তবে বহু চেষ্টা করলেও তাদের সরানো যাবে না ঠিক এই প্রসেসটাকেই ব্যবহার করে সোডিয়ামের অ্যাটামগুলোকে সরিয়ে পটাসিয়ামের অ্যাটামকে সেই জায়গায় বসালে কাজ আগের থেকে অনেক বেশি শক্ত হয়ে যায়.
এবার চলুন আমরা দুই ধরনের touch screen display সম্পর্কে একটু জেনে নিই. প্রথমে জেনে নেওয়া যাক registry touch display সম্পর্কে. রেজিস্ট্রি রেজিস্ট্রিভ টাচ স্ক্রিন. এর নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এটা আপনার টাচকে রেজিস্ট করে. মানে আটকানোর চেষ্টা করে. এটা আগেকার পুরোনো মোবাইলেতে ব্যবহার করা হতো. ওই স্ক্রিনগুলোতে যখন আপনি টাচ করতেন তখন মনে হতো যে screen টা হালকা একটু band হয়ে গেছে. এই registration screen এতে দুটো layer থাকে. পরে থাকে registry layer এবং নিচে থাকে conductive layer. তবে এই দুটো layer এর মাঝখানে ছোট ছোট dot থাকে. যা দুটো layer কে আলাদা করে রাখে. এই স্ক্রিনের উপরের লেয়ারটা অনেক ফ্লেক্সিবেল হয় এবং এটাকে বানানোর জন্য পলিথিনকে ব্যবহার করা হয়. আর নিচের লেয়ারটা অনেক শক্ত হয়. যেটা কাঁচের তৈরি হয়. ইনসুলিটিং ডটের মাধ্যমে তার স্ক্রিনের কন্ট্রোলারের সঙ্গে জোড়া থাকে. conductive layer এর মধ্যে সবসময় electric current flow হতে থাকে. এবার যখন আমরা registry layer এ touch করি প্রেসার পরে সেই জায়গাটা কন্ট্রাক্টিভ লেয়ারের সঙ্গে টাচ হয়ে যায় এবং সেই জায়গায় কন্ট্রাকটিভ লেয়ারে ইলেকট্রিক কারেন্টের মধ্যে একটা চেকটা change দেখা যায়. আর এর থেকেই বোঝা যায় যে touch টা কোথায় হয়েছে. ইনফরমেশন টা সাথে সাথে চলে যায় তার স্ক্রিন কন্ট্রোলারের মধ্যে. এবং আপনার ডিসপ্লে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে শুরু করে. যেমন এর আগেও বললাম এই স্ক্রিনগুলো পুরোনো জেনারেশনের ফোনগুলোতে ব্যবহার হতো তবে সেই সময়কার এটা সবথেকে অ্যাডভান্স টেকনোলজি ছিল. তবে এটা অনেক স্লো ছিল এবং এত বেশি সেন্সিটিভও ছিল না. বর্তমানে এটাকে এটিএম মেশিনে আপনি দেখতে পারেন. এর একটা স্পেশ্যাল ব্যাপার হলো বাইরের temperature একে প্রভাবিত করতে পারে না.
চলুন এরপরে জেনে নেওয়া যাক ক্যাপাসিটি স্ক্রিনের সম্পর্কে capacity screen গুলো registive screen এর মতো বিদ্যুতের পরিবহনের জন্য আপনার আঙ্গুলের প্রেসারের উপর ভরসা করে না. বরং এটা এরকম সব কিছু জিনিসের সাথেই কাজ করে. যেটা ইলেকট্রিক চার্জকে স্টোর করে রাখতে পারে. যার মধ্যে আমাদের টোকো আছে যা স্ট্যাটিক ইলেকট্রিক কে স্টোর করে রাখতে পারে আপনি হয়তো জানেন যে আমাদের শরীর বিদ্যুতের সুপরিবাহী. অর্থাৎ আমাদের শরীরের মধ্য দিয়ে খুব সহজে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে. স্ক্রিনের প্যানেলের উপরে এমন জিনিসের প্রোটিন থাকে যা ইলেকট্রিক চার্চকে স্টোর করতে পারে. আমাদের ত্বকের মধ্যে থাকা স্ট্যাটিক ইলেকট্রিককে সেন্স করতে পারে স্ক্রিনে যখনই আমরা টাচ করি তখনই আমাদের আঙুল থেকে একটা ছোট্ট ইলেকট্রিক চার্জ স্ক্রিনের উপরিভাগে জেনারেট হয় আর এই প্যানেলের চারকোনে লাগানো কন্ট্রোলার বুঝে নিতে পারে যে স্ক্রিনের কোন জায়গায় টাচ হয়েছে এই ক্যাপাসিটিভ টাস্ক স্ক্রিনে আমাদের আঙ্গুলের সাহায্যেই কাজ করা যায় যদি আপনি হাতের ওপর কোন গ্লাভস পরে থাকেন তাহলে আপনি এর ওপরে সেটার সাহায্যে কাজ করতে পারবেন না. তবে আমরা আমাদের আঙুল ছাড়া বিভিন্ন styles device অর্থাৎ Spen এর মতো যে সমস্ত device আছে সেগুলোর সাহায্যেও কাজ করতে পারে. কারণ ওগুলো কন্ট্রাকটিভ মেটেরিয়ালের তৈরি হয়. আধুনিক ফোনগুলোতে বেশিরভাগই ক্যাপাসিটিভ ডাস্টবিনকেই ব্যবহার করা হয়. এটা রেজিস্ট্রি স্ক্রিনের থেকে অনেক বেশি ফার্স্ট হয়. এবং অনেক বেশি সেনসিটিভও হয়. রেজিস্ট্রি স্ক্রিনকে ব্যবহার করতে গেলে আপনাকে আঙুলের সাহায্যে একটু বেশি প্রেসার ক্রিয়েট করতে হয়. ক্যাপাসিটি স্ক্রিনেতে আপনি হালকা টাচ করেও কাজ করতে পারেন.
তো বন্ধুরা আশা করি কিছুটা ক্লিয়ার করতে পেরেছি যে touch screen কিভাবে কাজ করে?
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.