আলোর থেকেও বেশি গতিতে ছুটছে | This Is Running With The Speed More Than Light | |
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাকাশে একটি বিশাল বিস্ফোরণ সনাক্ত করেছেন. যে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে. এটি আলোর গতির চেয়ে ৭ গুণ দ্রুত গতিতে মহাকাশে ভ্রমণ করছে. এই ঘটনার ভবিষ্যৎবাণী আলবাট আইনস্টাইন অনেক আগেই করেছেন. কিন্তু এটি খুঁজতে বৈজ্ঞানিকদের লেগে গেছে প্রায় একশো বছর
এই ঘটনাটি নাসার হাবল টেলিস্কোপ দ্বারা শনাক্ত করা হয়েছে. কিন্তু বৈজ্ঞানিকরা এটিকে চোখের ভুল বলে দাবি করছেন. তাহলে কি আইনস্টাইনের অচল ভবিষ্যৎবাণী ভুল? জানার জন্য পোস্ট অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন
এটি একটি চোখের ভ্রুণ যা সুপার Luminal মশার নামক একটি বিরল এবং মুন বিভ্রান্তিকর ঘটনা. এটি তখন ঘটে যখন কোনো কিছু আলোর গতিতে চলার খুব কাছাকাছি চলে আসে. বারোই অক্টোবর নাসার জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে নক্ষত্রদের সংঘর্ষে স্থান থেকে একটি বিস্ফোরণ সনাক্ত করা হয়েছে
অবাক করার বিষয় হলো যে এটির গতি আলোর গতিতে নাইনটি-নাইন পয়েন্টে নাইন্টি-সেভেন পার্সেন্ট অর্থাৎ এই শক্তিপুঞ্জটি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ছশো-সত্তর মিলিয়ন মাইল পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে গতিমান এই শক্তিপুঞ্জটি একটি মহাজাগতিক বিপর্যয়ের ফলাফল
যা দু হাজার সতেরো সালে বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথমবার সাড়া ফেলে দিয়েছিল. সেই বছর বিজ্ঞানীরা দুটি নিউট্রন তারার মধ্যে একটি সংঘর্ষ শনাক্ত করেছিলেন. অতি ঘন ভেঙে পড়া এই নক্ষত্রের কেন্দ্রটির কাছে সূর্য বলের মতো ছোট একটি শহর ছাড়া আর কিছুই নয়
এটি পৃথিবী থেকে প্রায় একশো চল্লিশ মিলিয়ন আলোক বৎস দূরে অবস্থিত সংঘর্ষটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যেটি মহাজাগতিক সময়ের গঠনে তরঙ্গের এক বিশাল ঢেউ সৃষ্টি করেছিল
এই ধরনের ব্যাঘাত গুলিয়ে মহাকরশীয় তরঙ্গ নামে পরিচিত আলবাট আইনস্টাইন উনিশশো-ষোলো সালে এই মহাজাগতিক সময়ের তরঙ্গগুলির অস্তিত্বের ভবিষ্যৎবাণী প্রমাণ করেছিলেন. যা দুহাজার-ষোলো সালে দুটি ব্ল্যাক হোলের মধ্যে সংঘর্ষের দ্বারা ধরা পড়ে. আইনস্টাইনের এই ভবিষ্যৎবাণী প্রমাণ করতে বিজ্ঞানীদের একশো বছর সময় লেগে গিয়েছিল
প্রথম দু হাজার সতেরো সালে জি ডাবলু ওয়ান সেভেন জিরো এইট ওয়ান নামক একটি সংকেত ধরা পড়েছিল. যা প্রমাণ করে যে একাধিক ধরনের মহাজাগতিক বিপর্যয় এই ধরনের তরঙ্গ তৈরি করতে সক্ষম
এই তরঙ্গ সঙ্কেতটি ব্ল্যাক হোল থেকে আসেনি এসেছিল অন্য কোন উৎস থেকে মহাকর্তীয় তরঙ্গ গুলি খালি চোখে অদৃশ্য তবে ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনাতে অবস্থিত লার্জ ইন্টারফেরোমিটার গ্রাভিটেশনাল ওয়েব অবজারভেটরি বা লিগের মতো যন্ত্রগুলির সাহায্যে এগুলি সনাক্ত করা যায়
লিগু দু হাজার সতেরো সালে সংঘর্ষকারী নক্ষত্র থেকে তরঙ্গের প্রথম বিস্ফোরণ শনাক্ত করার পরে বিশ্বজুড়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাদের টেলিস্কোপ গুলিকে একত্রিত করে দিয়েছিল যাতে তারা এটি সম্পর্কে আরো বেশি করে জানতে পারে
দিন আগে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি উচ্চগতির শক্তি কন্যা সনাক্ত করেছিলেন যেগুলি তারাদের বিস্ফোরণের ফলে নির্গত বস্তু গুলিকে নিজের আলোতে উজ্জ্বল করে রেখেছে. জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নাসার হাবিল স্পেশটিলিস্কোপ ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির গায়া স্পেস অফ জার্ভেটারি
এবং পৃথিবীতে বেশ কয়েকটি অতিরিক্ত রেডিও টেলিস্কোপ দিয়ে এই গতিমার শক্তিকুণ্ডটিকে বিশ্লেষণ করেছেন. তাঁরা এই শক্তিপুঞ্জটিকে জেট বলে অভিহিত করেছেন. এই জেটের গতি আলোর গতির সাত গুণ বলে একটি ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়
কারণ এই গতিমান শক্তিপুঞ্জের মধ্যে যে বস্তুগুলি রয়েছে আর জেট থেকে নির্গত আলোক কণার গতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে. যেহেতু জেটের আলোক কণাগুলি যতটা আলো নির্গত করে ততটাই দ্রুত গতিতে চলে. কিন্তু জেটের বস্তুগুলি আলোক কণাগুলির থেকে পিছিয়ে পড়ে. যা
যার ফলে এটিকে এমন ভাবে দেখায় যে জেডটি আসলে আলোর গতির যে দ্রুত গতিতে চলেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর আগেও আরো বেশ কিছু মহাজাগতিক বস্তুতে এই বিভ্রম দেখেছেন যার মধ্যে রয়েছে মেসিয়ার এইটটি সেভেন গ্যালাক্সির ভার্গ কনস্টেবলের স্থানে
বা কন্যা রাশির নক্ষত্র কুঞ্জ এখনো পর্যন্ত সুপার লোমিনাল গতির সমস্ত দৃষ্টান্ত মানুষের তৈরী পদার্থ বিজ্ঞানের সমস্ত গাণিতিক নিয়মগুলি পরোয়া না করে কোনো এক অজানা গাণিতিক নিয়মে ছুটে চলেছে
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.