Corruption in Bangladesh |
আগামী দু হাজার তেইশ সাল হবে সবথেকে ভয়াবহ. এমনকি বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে. সারা পৃথিবীতে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি এক বছর আগেই ঘোষণা দিয়েছেন দু হাজার তেইশ সালে তাঁর দেশে. দুর্ভিক্ষ হতে যাচ্ছে
বাংলাদেশের মানুষের জন্য সেই কষ্ট না হয়. তার জন্য এখন থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি. আপনারাও নেবেন. হাসিনা সরকার সবসময় তার সরকারের দুর্বলতা ঢেকে রাখবার চেষ্টা করে. কিন্তু হঠাৎ করেই কেন হাসিনা আগ বাড়িয়ে দুর্ভিক্ষের আগাম বার্তা দিচ্ছেন
এর কারণ একটি তাহলে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবার. যে কারণেই কোভিড আর ইউক্রেন যুদ্ধের উপর দায় চাপিয়ে হাসিনা বলবার চেষ্টা করছেন. আসন্ন সংকটে সরকারের আসলে কোন দায় নেই. কিন্তু বাস্তবে দেশে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী হাসিনা তার পরিবার আর তার আশীর্বাদপুষ্ট কিছু ব্যাবসায়ীর
লাগামহীন লুটপাট. বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দুর্নীতি কোনো নতুন বিষয় নয়. তবে হাসিনার সরকারের দুর্নীতি কতটা সাজানো গোছানো পূর্ব পরিকল্পিত তা আজকের অনুসন্ধানে আপনাদেরকে
দেখানোর চেষ্টা করবো. তবে আওয়ামী লীগের লুঠপাটের দৃশ্য দেখার আগে BNP লুঠপাটের অবস্থা একটু. তুলে ধরতে হবে. কারণ আওয়ামী লীগের লুটপাটের কথা উঠতেই আওয়ামী লীগ সবসময় BNP র সময়ে দুর্নীতির উদাহরণ সামনে নিয়ে আসেন. চলুন দেখা যাক দুর্নীতিতে কারা কতটা
পাকাপত্ত. BNP জামাত জোট সরকারের দুর্নীতির কথা বলতে গেলে সবার আগে চোখের সামনে যেটা ভেসে ওঠে তা হলো. বিদ্যুৎ খাতে তারেক রহমানের মহালোৎপাঠ
কিন্তু বিদ্যুৎ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী জ্বালানি উপদেষ্টা কিংবা সংশ্লিষ্ট কোন বিভাগের সাথে যুক্ত না থেকেও তারেক রহমান কিভাবে বিদ্যুৎ খাতে এত দুর্নীতি করলো তারেক রহমানকে বিদ্যুৎ খাতের সাথে জড়ানোর পেছনে কাজ করেছে তৎকালীন সময়ে এনটিভিতে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার
সাক্ষাৎকারে বলেন।
পেট্রোলের দাম বাড়ার সাথে সাথে কিন্তু এনার্জি কেস কিছু হবে. এটা একটা আছে. আমাদের দেশে ধরেন আ যেগুলা পাওয়ার স্টেশন আছে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পাওয়ার স্টেশনে কস্টি ব্যাপার.
ওই সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান স্বীকার করেন দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে. এছাড়া এখনকার নির্লজ্জ ক্ষমতা সিনতের মতো পূর্বের সরকারকে দোষারোপ না করে তিনি সকলের কাছে সংকট উত্তরনে তরুণে সহায়তা চেয়েছিলেন.
সাক্ষাৎকার।
সবাই মিলে যদি আমরা একটা জিনিস চেষ্টা করি আমার মনে হয় পাওয়ার ক্রাইসিসটা বহুলাংশে কন্ট্রোল করা সম্ভব.
সাক্ষাৎকারে এক জায়গায় তিনি সন্ধ্যায় বাসাবাড়ি এবং মার্কেটে একই সাথে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে বাড়তি চাপের কথাও জানিয়ে ছিলেন
এই বক্তব্যকে আওয়ামী গুজব বাহিনী প্রচার করতে থাকে তারেক রহমান বলেছেন একই সাথে বাসাবাড়ি এবং দোকানপাটে বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব নয়. এভাবেই তারেক রহমানকে বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের সাথে ট্যাগ করা হয়েছিল. আপনি বাসেও কারেন্ট চাচ্ছেন অ্যাট দা সেম টাইম আপনি
আছেন. শপিং মলগুলোতে কারেন্ট. কোন গভর্নমেন্টের পক্ষে সম্ভব না. আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার প্রোপাগান্ডা উইং কতটা শক্তিশালী তাঁর আরেকটা প্রমান বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে তাদের মিথ্যাচার. বিএনপির সরকার নাকি বিদ্যুৎ না দিয়ে শুধুমাত্র খুঁটি বসিয়ে লুটপাট করেছে. কিন্তু আপনি একটু ভেবে দেখুন তো বাংলাদেশের এমন কোন স্থান
আছে যেখানে মানুষের বাড়ি ঘর ছাড়াই বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছে. এমন একটি খুঁটিও কি আছে যেখানে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়নি. বাস্তবে BNP র পরিকল্পনা ছিল বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি সঞ্চালন বা ডিস্ট্রিবিউশন লাইন বসানো যাতে উৎপাদনের পর কোন বিদ্যুৎ
অপচয় না হয়. কিন্তু বাস্তবে যে গতিতে গ্রাহক বাড়ানো হয়েছিল ওই গতিতে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ায়নি সরকার. যে কারণে এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছিল. দু হাজার এক সাল থেকে দু হাজার ছয় সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে BNP জমায়েত দেশের জাতীয় গ্রেডে মাত্র আশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
চোখ করতে সক্ষম হয়েছিল. যদিও আওয়ামী লীগ সরকারও গেলো তেরো বছরে স্থায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে যোগ করেছে মাত্র. তিনশো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ. আপনারা হয়তো চমকে উঠবেন আওয়ামীলীগ সরকার ঘোষণা দিচ্ছে তারা হাজার হাজার মেগাওয়ার্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে. আর আমি বলছি মাত্র তিনশো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে
যে সত্যি তাই আওয়ামী লীগ যে হাজার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলছে তার সবগুলোই ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সাময়িকভাবে ভাড়া নেওয়া যা অসম্ভব ব্যয়বহুল. তথ্য বলছে BNP শাসন আমলের শেষ বছরগুলোতে সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছিলো চারশো থেকে পাঁচশো মেগাওয়াটের মতো
দু হাজার পাঁচ সালের অক্টোবর মাস নাগাদ সারা দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমান ছিল প্রতিদিন. পাঁচশো থেকে নয়শো মেগাওয়াট. দু হাজার ছয় সালের মে মাস নাগাদ লোডশেডিংয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার মেগাওয়াটে
বিদ্যুতের দাবিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আন্দোলন হয়েছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে. এছাড়া রাজধানী শনির আক্রান্ত বিদ্যুতের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল. যেখানে হাজার হাজার এলাকাবাসী বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ করে. বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ গুলিও জ্বালিয়েছিল বিক্ষোভকারীদের উপর
সারা দেশে ডজন খানেক মানুষ নিহত হয়েছিল অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ অফিসারের কারণে. বলে রাখা ভালো সেই ঘটনায় চাকরি হারায় পুলিশের একজন OC সহ ছয় পুলিশ সদস্য. যে যেভাবেই বলুক দু হাজার এক থেকে দু হাজার ছয় সাল পর্যন্ত সবচেয়ে অবহেলিত খাত ছিলো বিদ্যুৎ খাত
তৎকালীন BNP জামায়েত সরকার পদে পদে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এই খাতটিতে. কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে BNP কি বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করেছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর এদেশে লুটপাট করে না কে? একটু কমার একটু বেশি যে দেশে করোনার মতো ভয়াবহ মহামারীতেও রাজনীতিবিদদের
ঠেকানো যায়নি সেই দেশে BNP রাজনীতিবিদের আর সবাই সৎ হবেন এটা কল্পনা করা অবকামী অতএব দুর্নীতি একেবারেই বন্ধ করার চিন্তা বাদ দিয়ে কোন দল কতটা চুরি করেছে আপাতত ততটুকু যে নেই নাকে তেল দিয়ে ঘুমাই
প্রথমে BNP বিদ্যুৎ হাতে কত টাকার দুর্নীতি করেছিল সেটা জানতে আবারো একটু
Wikipedia থেকে ঘুরে আসা যাক. BNP র সবশেষ ক্ষমতায় আসে দু হাজার এক সালের শেষ দিকে. দু হাজার দুই তিন অর্থ বছরে BNP সরকারের মোট বাজেট ছিল চুয়াল্লিশ হাজার আটশো চুয়ান্ন কোটি টাকা. দু হাজার তিন চার অর্থ বছরে মোট বাজেটের পরিমাণ ছিল একান্ন হাজার নশো আশি কোটি টাকা
তার পরের বছর অর্থাৎ দুহাজার চার পাঁচ অর্থ বছরে সাতান্ন হাজার দুশো আটচল্লিশ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করেছিল তৎকালীন সরকার. দু হাজার পাঁচ ছয় অর্থ বছরে একষট্টি হাজার আটান্ন কোটি টাকা এবং
সব শেষ বছর অর্থাৎ দুহাজার ছয় সাত অর্থ বছরে এমসাইফুর রহমান ঊনসত্তর হাজার সাতশো চল্লিশ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছিলেন. সব মিলিয়ে BNP সরকারের পাঁচ বছরের মোট বাজেট ছিল দুলাখ চুরাশি হাজার আটশো. আশি কোটি টাকা. অন্যদিকে বর্তমান সরকারের শুধুমাত্র চলতি অর্থ বছরে বাজেট ছিল
ছয় লাখ আটাত্তর হাজার চৌষট্টি কোটি টাকা অর্থাৎ বিএনপির পাঁচ বছরে বাজেটের চেয়ে আওয়ামী লীগের এক বছরের বাজেট প্রায় তিনগুন বেশি বলে রাখা ভালো BNP সরকারের রেখে যাওয়া মাথাপিছু ছয় হাজার টাকা ঋণের পরিমাণ এখন মাথাপিছু ছিয়ানব্বই হাজার টাকা এ
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.