Scan and go to my YouTube channel |
আপনি প্রত্যেকটা প্রোডাক্ট এর প্যাকেটে বারকোড দেখে থাকবেন. যার মধ্যে শুধু নাম্বার স্টোর করাই সম্ভব. কিন্তু তার থেকেও অ্যাডভান্স টেকনোলজি হল Qr কোড.
এই কিউআর কোডের মধ্যে আপনি অনেক কিছু স্টোর করতে পারেন. আপনি কোন টেক্সট স্টোর করতে পারেন. কোন ওয়েবসাইটের ইউআরএল স্টোর করতে পারেন.
এমনকি আপনার ফোন নাম্বার এবং কন্টাক্ট স্টোর করতে পারেন. আর যদি আপনি কোন ওয়েবসাইটের ইউ আর এল এড্রেসকে স্টোর করে রাখেন কোন Qr কোডেতে. তখন যে যে ফোন দিয়ে ওই কিউআর কোডটাকে স্ক্যান করবে. তাঁরা ডিরেক্টলি ওই ওয়েবসাইটে চলে যেতে পারবে.
টাইপ করার দরকার পড়বে না. কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই কিউআর কোডকে আপনি নিজেও তৈরি করতে পারেন. আর আপনি সেটা কিভাবে বানাবেন এবং কিউআর কোড কিভাবে কাজ করে? সেটা জানার জন্য লেখাটা শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়বেন. আর বন্ধুদের সঙ্গেও শেয়ার করে নেবেন.
সোজা ভাষায় বলতে গেলে এই Qr কোডগুলো একটা টুডি ইনক্রিপটেড কোড. এর মধ্যে অনেক ধরনের ডেটা স্টোর করা সম্ভব. আপনি কোন দোকানে বা যেকোনো জায়গায় যদি কোন কিউআর কোড দেখেন তবে একটা জিনিস জেনে নেবেন যে এই ছোট্ট জায়গাটার মধ্যে অনেক ইনফরমেশন স্টোর করা আছে আর ওই ইনফরমেশন গুলোকে সেই পড়তে পারবে যে ওই কিউআর কোডটাকে স্ক্যান করবে. সেটা কিউআর কোড স্ক্যানার দিয়েও হতে পারে. এমনকি আপনার ফোন দিয়েও হতে পারে. তাহলে সোজাসুজি দেখতে গেলে কিউআর কোডের মধ্যে অনেক ধরনের ডেটা স্টোর থাকে. যেটা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না. ওটাকে স্ক্যান করতে হবে. তারপরেই আমরা জানতে পারবো যে ওর মধ্যে কি আছে. এবার আপনার মাথার মধ্যে একটা প্রশ্ন আসতে পারে.
যদি কোনো ইনফরমেশন কাউকে দিতে হয় তবে সেটা ডিরেক্টলিও তো দেওয়া যেতে পারে কিউআর কোড বানানোর কি দরকার আছে প্রথমে কিউআর কোড বানাতে হবে তারপর তাকে দিতে হবে তারপর সে ওই কিউআর কোডটাকে স্ক্যান করবে তারপর সে জানতে পারবে যে ওর ভেতরে কি আছে তো এত ঝামেলা পোহানোর দরকারটাই বা কি
এখানে একটা ছোট্ট এক্সাম্পল দিলে তবে আপনি বুঝতে পারবেন ধরুন কোনো দোকানে আপনি পেটিএম এর মাধ্যমে টাকা দিচ্ছেন যদি কিউআর কোড না থাকতো তবে কি করতে হতো সেক্ষেত্রে আপনাকে ওই দোকানদারের নাম্বার নিতে হতো তারপর সেই নাম্বারটাকে আপনার পেটিএম এর মধ্যে এন্টার করতে হতো এবং পরেই আপনি টাকাটা send করতে পারতেন. কিন্তু যখনই আপনার সামনে একটা কিউআর কোড চলে আসে তখন শুধুমাত্র স্ক্যান করেই আপনি দোকানদারকে ওই টাকাটা দিতে পারেন. এতে আপনার সময়ও বেঁচে যায় এবং নাম্বার ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না.
অর্থাৎ যখনই আমরা offline থেকে অনলাইনে কোনো ডেটা ট্রান্সফার করি তখন হয় আমাদের ফোনেতে সেটাকে টাইপ করতে হয় কিংবা যদি কম্পিউটার কেউ ব্যবহার করে তবে তাকে কিবোর্ডের মাধ্যমে টাইপ করতে হয়. তো সেক্ষেত্রে সময়ও নষ্ট হয় এবং ভুলও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে.
কিন্তু যদি ওই ডেটারটাকে কিউআর কোডের মাধ্যমে ইনক্রিপটেড করে দেওয়া যায় তাহলে শুধুমাত্র স্ক্যান করলেই আপনার ওই কাজটা হয়ে যায়. এই কারণেই কিউআর কোডের ফুল ফর্ম হল কুইক রেসপন্স কোড. মানে যখনই আপনি স্ক্যান করবেন সাথে সাথে আপনার ওই কোডটা ইনক্রিপটেড থেকে ডিক্রিপটেড হয়ে যাবে.
এই কিউআর কোডকে ব্যবহার করে আপনি আপনার জীবনেরও অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারেন. এটা টোটালি ওপেন সোর্স এর জন্য কোন লাইসেন্সিং বা কিছুর দরকার পড়ে না. এমনকি কিউআর কোডের মাধ্যমে আপনি কাউকে লাভ লেটারও পাঠাতে পারেন. তবে যখনই কেউ ওই কিউআর কোডটাকে স্ক্যান করবে তখনই সে
দেখতে পাবে।
যে ওই কিউআর কোডের মধ্যে আপনি কি লিখে পাঠিয়েছেন? তো তার জন্য জানতে হবে আপনাকে যে কিউআর কোড কিভাবে তৈরি করে?
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক কিউআর কোড আপনি কিভাবে তৈরি করতে পারবেন নিজের ইচ্ছা মতো. তবে সবার আগে আপনার এটাও জেনে নেওয়া দরকার যে ওই কিউআর কোডগুলোকে স্ক্যান
করার জন্য এবং ওর ভিতরে কি আছে সেটা জানার জন্য একটা অ্যাপের দরকার হয়. সেটা আপনি অ্যাপ স্টোরে গিয়ে কিংবা প্লে স্টোরে গিয়ে যেকোনো ফ্রি কিউআর কোর্স স্ক্যানার ডাউনলোড করে নিতে পারেন. যার সাহায্যে আপনি সমস্ত কিউআর কোডগুলোকে স্ক্যান করতে পারবেন.
এবার চলুন দেখা যাক যে কিউআর কোড কিভাবে তৈরি করতে হয়. তো সবার আগে আপনি চলে যান Google এ. Google এ গিয়ে search করুন qr code generator. তারপর দেখবেন অনেক রেজাল্ট আপনার সামনে খুলে গেছে.
প্রথমের লিঙ্কটাতে যাবেন .
তো এই ওয়েবসাইট টার নাম হচ্ছে https://www.qrcodegenerator.com তো এখানে দেখুন অনেকগুলো অপশন আছে. একটা আছে টেক্সট. তারপর আছে ইউ আর এল কন্টাক্টস, ফোন নাম্বার. তার সাথে SMS ও আছে.
প্রথমে ফ্রি টেক্সট এ ক্লিক করেবন এখানে আপনি যেকোনো ওয়ার্ড টাইপ করবেন যেমন আই লাভ ইউ লেখার সাথে সাথে দেখুন ডানদিকে একটা কিউআর কোড তৈরি হয়ে যাবে এটাকে আপনি সেভ করে নিতে পারেন এমনকি এখানেও যদি আপনি স্ক্যান করেন তবে দেখতে পাবেন আই লাভ ইউ আপনার ফোনের মধ্যে ডিরেক্টলি চলে এসছে
তো বন্ধুরা এরকম ভাবে আপনি যে কোন জিনিসের কিউআর কোড তৈরি করতে পারেন. তার সাথে আপনি কোন কন্টাক্টস এমন কি কোন ফোন নাম্বারও
কিউআর কোডের মধ্যে ইনক্রিপটেড করে বানিয়ে নিতে পারেন. আর কেউ যদি আপনাকে আপনার ফোন নাম্বার জিজ্ঞেস করে তখন আপনি ওই কিউআর কোডটা তাকে দেখিয়ে দিলে সে যদি স্ক্যান করে নেয় তবে আপনার ফোন নাম্বারটা ওর কাছে চলে যাবে.
এটা খুবই ইজি প্রসেস. এর সাহায্যে আপনি অনেক প্রবলেম সলভ করতে পারেন. এবার আপনারা নিজেরা নিজেরা ভেবে নিন যে এই কিউআর কোডটাকে আপনারা কি কি ভাবে ব্যবহার করতে পারেন. যাতে আপনাদের কঠিন কাজ সহজ হয়ে যায়.
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.