How do atomic bombs work? |
6 August 1945 এই দিন পৃথিবীর মানুষ প্রথমবার দেখতে পায় মানুষের তৈরি করা হাতিয়ারের ক্ষমতা কতটা হতে পারে এইদিন প্রথম মানুষের তৈরি সব থেকে শক্তিশালী হাতিয়ার কে অর্থাৎ নিউক্লিয়ার বোমকে যুদ্ধেতে ব্যবহার করা হয়. জাপানের হিরোশিমা তে বিস্ফোরণ হওয়া এই বোমটা এক মাইলের রেডিয়াসে সবকিছু মাটিতে মিশিয়ে দেয়।
এবং এর থেকে বেরোনোর যে শক ওয়েবটা ছিল সেটা আশেপাশের অনেক দূর এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়. এই নিউক্লিয়ার বোম থেকে বেরোনো এনার্জি এবং রেডিয়েশনের ফলে প্রায় এক লক্ষ চল্লিশ হাজার মানুষ মারা যায়.
আর এই দিনই মানুষ বুঝতে পারে যে আমাদের পৃথিবীর জন্য সবথেকে ডেঞ্জার হলো আমাদের নিজেদের তৈরি করা হাতিয়ার কতটা ক্ষতিকারক হতে পারে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অনেক সময় কেটে গেছে. এবং এবং বর্তমানে আমাদের টেকনোলজি আরো অনেক বেশি ডেভেলপ করেছে. আর সারা পৃথিবী জুড়ে এই নতুন টেকনোলজিকে ব্যবহার করে নতুন নতুন হাতিয়ার তৈরি করা হচ্ছে হিরোশিমা এবং নাগাসাকের বিধ্বংসীকর ঘটনার পরেও আমরা এমন টেকনোলজি ডেভেলপ করে ফেলেছি যেটা হিরোশিমার বোমের থেকে কয়েকশো গুণ বেশি শক্তিশালী যাকে হাইড্রোজেন, বোম কিংবা থার্মো নিউক্লিয়ার বোম বলা হয়ে থাকে.
আর আজকে এই আর্টিকেলে আমরা জানার চেষ্টা করবো যে হাই বোমগুলো আসলে কি?
এগুলো নিউক্লিয়ার বোমের থেকে কত বেশি ডেঞ্জারেস হতে পারে? এবং কিভাবে এই হাইড্রোজেন বোমগুলো কাজ করে. এর আগেও যেমন বললাম যে হিরোশিমা তে যে বোমটা ফেলা হয়েছিল তার এক মাইল রেডিয়াসের সমস্ত কিছুকে ধ্বংস করে দিয়েছিল কিন্তু যদিও কিন্তু যদি ওখানে নিউক্লিয়ার বোমের জায়গায় হাইড্রোজেন, বোম ব্লাস্ট হতো. তবে সেটা মাত্র এক মাইল নয়. প্রায় দশ থেকে পনেরো মাইলের রেডিয়াসের মধ্যে যা যা জিনিস থাকতো. সবকিছুকে ধ্বংস করে দিত
আর এর থেকে বড়ো ব্যাপার হলো এর থেকে বেরোনোর যে radiation হতো সেটা আরো অনেক বেশি dangerous হতো. যার ফলে এক লাখ চল্লিশ হাজারের থেকে অনেক গুণ বেশি লোক মারা যেত. বর্তমানে পৃথিবীতে নানান দেশের কাছে যত হাইড্রোজেন বোম আছে তার টোটাল সংখ্যা প্রায় দশ হাজারের কাছাকাছি যেগুলো পুরো পৃথিবীকে ধ্বংস করার জন্য enough না হলেও মানব জাতিকে এই পৃথিবী থেকে একেবারে মতো মুছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট. তবে এই বোমগুলো এত বেশি ডেঞ্জারাস হয় কি করে? এবং এদের থেকে এত বেশি এনার্জি কিভাবে রিলিজ হয়? তে যে বোমটা blast হয়েছিল তার energy প্রায় পনেরো হাজার টন TNT এর সমতুল্য.
প্রথম যে হাইড্রোজেন বোমটা ব্লাস্ট হয়েছিল তার এনার্জি প্রায় এক কোটি টন TNT এর সমতুল্য ছিল. হিরোশিমা তে যে বোমটা ব্লাস্ট হয়েছিল অর্থাৎ পারমাণবিক বোমেতে নিউক্লিয়ার ফিশান পদ্ধতিকে ব্যবহার করা হয় একটা ভারী অ্যাটার্ম ডিভাইড হয়ে এনার্জি প্রডিউস করে কিন্তু হাইড্রোজেন বমেতে ইউজ হয় নিউক্লিয়ার ফিউশন. মানে যে প্রক্রিয়ার সাহায্যে সূর্য নিজের এনার্জি প্রোডিউস করে. এই ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে দুটো আলাদা আলাদা attack combine হয়. এবং তার থেকে তৈরি হয় energy. actually যদি ভালো করে দেখতে হয় তাহলে হাইড্রোজেন বমেতে নিউক্লিয়ার ফিউশন এবং নিউক্লিয়ার ফিউশন দুটো পদ্ধতিকেই ব্যবহার করতে হয় এই কারণে নিউক্লিয়ার বোমের থেকে হাইড্রোজেন বোম কয়েকশো গুণ বেশি শক্তিশালী হয়. কখনো কখনো কয়েক হাজার গুণ বেশি শক্তিশালীও হতে পারে.
কিন্তু তাহলে হাইড্রোজেন বোম কাজ কিভাবে করে?
কিভাবে নিউক্লিয়ার ফিশা এবং ফিউশন দুটো পদ্ধতিকেই এখানে ব্যবহার করা হয়. থার্মো নিউক্লিয়ার বোম অর্থাৎ হাইড্রোজেন বোমেতে তিনটি আলাদা আলাদা বোম থাকে. এখানে একটা কেমিক্যাল কনভেনশনাল বোম থাকে যার মধ্যে থাকে একটা ফিউশন বোম. মানে নিউক্লিয়ার বোম. যে ধরনের বোম হিরোশিমাতে ব্যবহার করা হয়েছিল. আর তার সাথে থাকে একটা ফিউশন বোম. নিউক্লিয়ার ফিউশনের থেকে নিউক্লিয়ার ফিউশন অনেক টাপ প্রসেস. এই প্রসেসটাকে খুব সহজে অ্যাচিভ করা সম্ভব হয় না. কারণ হাইড্রোজেনের দুটো অনুকে ফিউজ করার জন্য অনেক বেশি টেম্পারেচারের দরকার হয়. প্রায় একশো কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি. আর এইটা আর এই temperature টাকে achieve করার জন্য একটা fish and বোম এর মধ্যে থাকে. হাইড্রোজেন বোমের সবার প্রথমে কেমিক্যাল বোমটা ব্লাস্ট করে. ফলে কেমিক্যাল বোমের মধ্যে থাকা নিউক্লিয়ার বোমটাও ব্লাস্ট করে. ওই vision bomb টা blast হওয়ার পরে যে heat এবং energy তৈরি হয় সেটাকে ব্যবহার করে fusion bomb টা হাইড্রোজেনের অনুগুলোকে ফিউজ করতে শুরু করে. ফলে ফিউশন বোমটাও ব্লাস্ট করে যায়. আর এই ফিউশন বোমটা ব্লাস্ট হওয়ার পরে যে এবং এনার্জি এবং রেডিয়েশন তৈরি হয় সেটা আশেপাশের সমস্ত কিছুকে একেবারে ধ্বংস করে দেয়.
এই প্রসেসটা এত কুইক হয় যে এটাকে আলাদাভাবে কেউ বুঝতে পারবে না. চোখের পলক পড়ার সাথে সাথেই এটা কয়েক মাইল এলাকাকে ধ্বংস করে দিতে পারে কিন্তু এই এত এনার্জি আসে কোথা থেকে? এই বোমেতে যত অ্যাটার্ম ইউজ করা হয় সেই সংখ্যা বিস্ফোরণের পরে যত এটম রিলিজ হয় তার থেকে অনেক বেশি. মানে ফিউশন রিয়্যাকশন হওয়ার পর অ্যাটমের সংখ্যা কমে যায়. এখানেই কাজে আসে আইনস্টাইনের ফেমাস ইকুয়েশনটা ই ইকুয়ালটু এমসি স্কোয়ার অর্থাৎ বিস্ফোরণের পরে যত অ্যাটাম কম হয় তাদের মাস এনার্জিতে কনভার্ট হয়ে যায় কিন্তু কতটা মাস্ক এনার্জিতে কনভার্ট হয় হিরোশিমাতে যে বোমটা ইউজ হয়ছিল সেখানে মাত্র সাতশো মিলিগ্রাম মাস এনার্জিতে কনভার্ট হয়ছিল যেটা একটা কয়েনের তিন ভাগের এক ভাগ. তবে এখানে ব্যবহার করা হয়েছিল প্রায় পঞ্চান্ন পাউন্ড ইউরেনিয়াম. কিন্তু হাইড্রোজেন বোম এর থেকে অনেক বেশি এফিসিয়েন্ট. এখানে প্রায় এক কেজি মাছকে এনার্জিতে কনভার্ট করা সম্ভব. কিন্তু তার জন্য বোমেতে প্রায় একশো-চল্লিশ কেজির মতো হাইড্রোজেন ব্যবহার করতে হবে. আর পৃথিবীতে এরকম মাত্র ছটাই দেশ আছে যাদের কাছে এত বড় হাইড্রোজেন বোমা আছে. এই দেশগুলো হলো আমেরিকা, ইউকে, ফ্রান্স, রাশিয়া, চায়না এবং ইন্ডিয়া. আপনি মোটামুটি ধরে রাখতে পারেন যে বর্তমানে যত নিউক্লিয়ার ওয়েব প্যান তৈরি করা হয় তাদের মধ্যে বেশিরভাগটাই থার্মো নিউক্লিয়ার ওয়েপেন এগুলো অনেক ছোট হয় এবং হালকা হয়. কিন্তু বিস্ফোরণের শক্তি অনেক অনেক বেশি হয়. তো আপনাদের কি মনে হয় পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন করে রাখার জন্য? বিধ্বংসী কর হাতিয়ার গুলো কি সত্যিই দরকারি? নাকি সমস্ত দেশগুলোকেই নিজেদের নিউক্লিয়ার ওয়েপেনকে ধ্বংস করে দেওয়া উচিত বা নষ্ট করে দেওয়া উচিত. কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন. লেখাটা যদি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে একদম ভুলবেন না.
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.