mentally strong |
মানসিকভাবে দৃঢ় ও শক্তিশালী হওয়ার শ্রেষ্ঠ উপায় জানার আগে আমাদের জেনে নেওয়া দরকার কোন মানুষকে আমরা মানসিকভাবে দৃঢ় ও শক্তিশালী মানুষ বলবো
যে কঠিন ও কঠোরভাবে কাজ করে
যে তার আবেগকে ignore করে.
যে তার শরীরকে যন্ত্রের মতো চালনা করতে পারে
যে নিজেকে সবসময় স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে
যে সর্বদা পজিটিভ চিন্তা করে যে আনন্দের পিছনে ছুটতে থাকে
যে মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ
না এগুলির একটিও নয়. এইসব গুণাবলী কখনোই নির্ধারণ করে না. তুমি কতটা মানসিকভাবে শক্তিশালী.
যদি পোস্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়তে পারো আমি জোর দিয়ে বলছি নিজেকে মেন্টালি স্ট্রং করার প্রক্রিয়া তুমি আজ থেকেই শুরু করতে পারবে করা যাক.
দেখো প্রথমেই বলে রাখি আমাদের শরীরে যে জিন আছে অর্থাৎ হেরিডিটি বা বংশগত ধারা আছে সেগুলি আমাদের মেন্টাল হেলথ behaviour ইত্যাদি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করে. তারপর আসি টেটসে. যার অর্থ ব্যক্তিত্বের ধারা কিছু কিছু মানুষ আছে যারা ছোটবেলা থেকেই খুবই কল্পনা বিলাসী আবার কেউ বাস্তব ভাবনা ও আচরণ করতে পছন্দ করে. এই ব্যাক্তিত্বের ধারাগুলি কিন্তু একজন মানসিকভাবে দৃঢ় কিনা তা অনেকটাই নির্ধারণ করে.
আর ভেবে দেখো আর একটি বিষয় সেটা হলো এক্সপিরিয়েন্স অর্থাৎ অভিজ্ঞতা.
আমাদের জীবনের অতীত অভিজ্ঞতাগুলি কিন্তু বর্তমান চিন্তাভাবনা,
আচার আচরণ অন্য মানুষ সম্পর্কে ধারণা এবং
এই বিশ্বকে অনুভব করার ক্ষমতাকে অবশ্যই খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করে.
সুতরাং আমরা মানসিকভাবে শক্তিশালী কিনা তা basically নির্ভর করে প্রধানত
আমাদের thoughts বা চিন্তা ভাবনা
behaviour বা আচার আচরণ এবং
আবেগ বা emotionally আমরা কেমন তার উপর.
চলো তাহলে এবার দেরি না করে দেখে নি কোন দশটি পন্থা বা উপায়ে আমরা মানসিকভাবে দৃঢ় ও শক্তিশালী হতে পারি.
number 1 উই শুড ইট ওয়েস্ট টাইম ফিলিং সরি ফর আওয়ার্স অর্থাৎ পূর্বে কোন কাজের জন্যে সে যত বড়ই ভুল হোক তার জন্য অনুতাপ বা রিগ্রেট ইত্যাদি করে কখনোই সময় নষ্ট করা উচিত নয়. মেন্টালি স্ট্রং লোকেরা কখনোই মনকে দুঃখের ভার বোঝাই করে জীবন আরো দুঃখময় করে তোলে না তারা অতীতে যা হয়েছে তা অ্যাকসেপ্ট করতে শেখে এবং সেগুলি স্মার্টলি ইগনোর করে সামনের দিকে এগিয়ে চলে. তারা কখনোই বলে না যে আমার জীবনের সমস্যায় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সমস্যা. বা যদি ভাগ্য ভালো হতো তাহলে ঠিক জীবনে উন্নতি করতে পারতাম বা ধীরে ধীরে দেখছি সমস্যা আরো বেড়েই চলেছে অথবা আমার দুঃখ বা সমস্যা কেউই বুঝবে না. অথবা আমার চারপাশের লোকেরা কি সুখী আর আমার কপালে একটুও সুখ জুটলো না. না এইসব হাবিব দেশ অনুতাপ করে জীবন অতিবাহিত করতে চাইলে জীবন আরো দুঃখময় ও দুর্বিসহ হয়ে উঠবে তাই সেলফিটি বা নিজের প্রতি করোনা দেখানো এক্ষুনি বন্ধ করো. অনুতাপ করে সময় অপচয় করা এই মুহূর্ত থেকে বন্ধ করো. মেন্টালি স্ট্রং পারসন হতে চাইলে প্রথমেই তোমাকে বিলাপ করে সময় নষ্ট করা বন্ধ করতে হবে মানসিকভাবে শক্তিশালী লোকেরা সময়কে স্মার্টলি কাজে লাগিয়ে জীবনের উন্নতির শিখরে পৌঁছে যায়. আজ থেকে নিজেকে বদলে ফেলো.
Number 2 উই শুড অ্যাকসেপ্ট চেঞ্জ। অর্থাৎ মানসিকভাবে শক্তিশালী ব্যক্তিরা সর্বদা পরিবর্তনকে সানন্দে গ্রহণ করে. কারণ আমাদের এই ক্ষণিকের জীবনে একমাত্র চিরস্থায়ী সত্য হলো এই পরিবর্তন. যে জীবনের পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে না. সে আসলে জীবনের প্রবাহ থেকে ছিটকে পড়ে. সে কখনোই মেন্টালি strong হতে পারে না. আমরা কোডাক ফিল্মের নাম শুনেছি. তারা ডিজিটাল মিডিয়াতে পরিবর্তিত হতে পারেনি বলেই আজ হারিয়ে গেছে. এবং মনে রেখো আমরা কম্পিউটারে বা মোবাইলে যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করি প্রত্যেকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আপগ্রেট ও আপডেট করে তাই তারা মার্কেটের টিকে থাকে আর তুমি সময়ের সঙ্গে বদলাতে পারছো তো? না পারা কিন্তু week mentality র লক্ষণীয় যদি এমন হয় আজ থেকেই বদলে নেওয়া শুরু করো নিজেকে. মনে রেখো পরিবর্তনকে স্বীকার করার ক্ষমতা একমাত্র মেন্ট মেন্টালি স্ট্রং পার্সনসদের মধ্যেই থাকে
Number 3 উই শুড ইন ফোকাস অন থিংস দ্যাট উই ক্যান নট কন্ট্রোল অর্থাৎ মেন্টালি স্ট্রং মানুষেরা কখনোই সেইসব বিষয়ের উপর ফোকাস করে না. যা তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে. বেশিরভাগ কুইক মাইন্ডেড মানুষেরা হৃদয়ের গভীরে বিশ্বাস করে যে তাদের জীবন অদৃষ্ট, ভাগ্য, নিয়তি, অর্থাৎ ফেট ডেস্টিনি এবং সামাজিক পরিস্থিতি পারিপার্শ্বিক লোকজনের উপর নির্ভর করে. আর আর স্ট্রং মাইন্ডেড পিপলরা বিশ্বাস করে দে ম্যান ইজ দ্যা মেকার অফ ইস ওন ডেস্টিনি অর্থাৎ মানুষ নিজেই তার ভাগ্যের স্রষ্টা তাই এই দৃঢ় প্রত্যয়ের লোকেরা সামাজিক পরিস্থিতি বদলের চেষ্টা না করে নিজের মনস্থিতি বদলে নেয় তাই স্ট্রং অ্যান্ড ফার্ম মাইন্ডেড পারসন হতে চাইলে যার উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই তাকে বদলের চেষ্টা না করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলার দিকে মননিবেশ করা উচিত.
Number 4 ওই শুড নো ট্রাই. টু প্লিজ এভরিওয়ান. অর্থাৎ আমাদের কখনোই সবার মন জুগিয়ে চলার জন্যে কাজ করা উচিত নয়. যে আসলে সবাইকে খুশি করতে চায় সে কাউকেই খুশি করতে পারে না. তাই স্ট্রং মেন্টালিটির মানুষেরা পিপল পিজার কখনোই হয় না তারা নিজের ভালোবাসার দিকে লক্ষ্য স্থির করে অবিচল থেকে এগিয়ে চলে তারা তাদের priority মাথায় রেখেই কাজ করতে ভালোবাসে. সুতরাং আজ থেকে জায়গা ও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিনয়ের সঙ্গে না বলতে শেখো. কোথাও বা কাকে হ্যাঁ এবং কাকে না বলতে হয় তা ভালো করে শেখা দরকার. আজ থেকেই. সবাইকে সন্তুষ্ট করা তোমার কাজ নয়. স্ট্রং মেন্টালিটির লোকেরা সাধারণ সাধারণত স্পষ্ট ভাসি হয় ও নিজের আপন মনে সঠিক লক্ষ্যের দিকে নিরাপত্তায় নিয়ে এগিয়ে চলে. মূলত এই চারটি বিষয় মেনে চলতে পারলে তুমি মানসিকভাবে স্ট্রং হয়ে উঠবে এ ছাড়াও আরো ছয় সাতটি জিনিস আছে যা strong minded people রা সর্বদা মেনে চলে. সেগুলি হলো
Number 5. দা ডোন্ট উইয়ার টেকিং ক্যালকুলেটেড রিস্ক অর্থাৎ হিসাব নিকাশ কোষে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা ঝুঁকি নিতে ভয় পায় না বা পিছু পা হয় না
Number 6 দে ডোন্ট ক্লিভ ইন দা পাস্ট অর্থাৎ তারা অতীত নিয়ে পরে থাকে না. বা অতীতের কথা চিন্তা করে বর্তমানকে ধ্বংস করে না.
Point number 7 দা ডোন্ট মেক দ্য সেম মিস্টেকস রিপিটেডলি অর্থাৎ তারা একই ভুল বারবার করে না জীবনের প্রতিটি ভুল থেকে সেইসব মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে নিজের জীবনকে বদলে দেয়.
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.