KNF Bangladesh |
no full state no rest
অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি অবসর নয়.
সেনাবাহিনীর মতো কমব্যাট পোশাক পরে উপজাতি নারী পুরুষ সুশৃঙ্খল বাহিনীর মতো দাঁড়িয়ে ইংরেজিতে সমসারে উচ্চারণ করছে এই বাক্য.
সম্প্রতি এক মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটেজটি দেখে বোঝা যায় দুর্গম কোন পাহাড়ে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ চলাকালে ওই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে 16/10/2022 fire সার্ভিস ও civil defense অধিদপ্তরের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান তার বক্তব্যে উঠে আসে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সারে গড়ে ওঠার সঙ্গবদ্ধ বিদ্রোহী চক্র KNF এর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কথা সেইসাথে KNF এর সঙ্গে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগসাজশ আছে কিনা সে বিষয়েও কথা বলেন.
আমরা ওখানে তার এই বক্তব্যের মাধ্যমেই মূলত দেশের জনসাধারণ বৃহৎ পরিসরে পাশাপাশি জানতে পারে KNF এর কথা.
কারা এই কে এনে?
কি তাদের উদ্দেশ্য?
কেনই বা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যৌথবাহিনী?
কে এন এফ এর পুরো নাম কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট 2008 সালে KNDO নামের একটি সেবামূলক সংগঠনের নামে যাত্রা শুরু করে তারা.
এর প্রতিষ্ঠাতা বান্দরবনের রুমা উপজেলার নাথানব. পরাশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে. সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও লড়েছেন তিনি.
2016 সালে সংগঠনের নাম পাল্টে KNF রাখা হয়. বোম, কুমি, খ্যাং, মরো, লুসাই সহ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ছটি ক্ষুদ্র নিগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে এই সংগঠনটি কাজ করেছে বলে তারা প্রথম দিকে জানিয়েছিল.
বাহারি অঞ্চলে সংখ্যালঘু হওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ চাকমা বা মার্মাদের তুলনায় অনেকটাই সুবিধা বঞ্চিত এরা. এ কারণে চাকমা মারবাদের সাথে তাদের রয়েছে ঘোর বিরোধ. পরবর্তীতে সংগঠনটি খোলস পাল্টে সশস্ত্র বিদ্রোহী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এক পর্যায়ে ফেসবুকে তাদের বেশ কয়েকটি পেজে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত এলাকাগুলোকে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা বলে দাবি করা হয়.
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার প্রায় অর্ধেক আয়তনের অঞ্চল তথা
লামা,
রুমা,
আলিকদম,
থাংচি,
বাঘাইছড়ি
পোহাং ছুরি,
বিলাইছড়ি,
জোড়াইছড়ি,
বরাকল সহ
আশেপাশের এলাকা নিয়ে একটি মনগড়া মানচিত্র তৈরি করেছে তারা. তাদের দাবি পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময় কুকীচিন রাজ্য ছিল. চাকমারা তাদের সেই রাজ্য দখল করে তাদেরকে উচ্ছেদ করেছে. তাদের সেই রাজ্য পুনরুদ্ধার ও স্বাধীন কুকি চীন রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য তারা এখন লিপ্ত হয়েছে সশস্ত্র সংগ্রামে. মোদ্দা কথা পার্বত্য চট্টগ্রাম কে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পায়তাড়া করছে তারা. তাদের রয়েছে নিজস্ব লোগো. নিজস্ব পতাকা এমনকি নিজস্ব জাতীয় সঙ্গীতও. সাম্প্রতিক সময়ে এই সংগঠনটির সাথে সন্তু লার্মার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির আধিপত্য নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে. আর সর্বশেষ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসারফিল হেনদার সারক্রিয়ার সাথে অভিযোগ উঠেছে এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে.
কিছুদিন আগে উগ্রবাদী উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া 19 জেলার 55 জন তরুণের তালিকা প্রকাশ করে Rab। তাদের মধ্যে 38 জনের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা প্রকাশ করা হয়েছে।
এই 38 জন তরুণ বর্তমানে এই kNF এর অধীনে দুর্গম পাহাড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন রাজধানী ঢাকা দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থান তাদের হামলার টার্গেট হতে পারে
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় 2017 সালে গঠিত হওয়া জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসারকিল সারকিয়া. বাছাই করা তরুণদের ছোট ছোট গ্রুপ এ এক এক জন senior সদস্যের হেফাজতে রাখে. যেসব বাড়িতে তাদের আটকে রাখা হয় সেটাকে তারা আনসার হাউস বলে.
এরপর চর অঞ্চলে শারীরিক কসরত সহ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়.
এ পর্বে উত্তীর্ণদের প্রশিক্ষণের জন্য বান্দরবনে KNF এর ক্যাম্পে পাঠানো হয়. KNF ক্যাম্পে এই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শুরু হয় চলতি বছরের শুরুতে. সেখানে AK 47 রাইফেল,
পিস্তল ও
কাটা বন্দুক চালানো
বোমা তৈরি এবং
চোরা গুপ্তা হামলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়
RAB বলছে গ্রেফতার হওয়া কুমিল্লার মসিদুল কুমার ইমাম হাবিবুল্লা দুই বছর ধরে বান্দরবনে নাখাইনছড়িতে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো এ ছাড়া দুর্গম এলাকায় আরো কিছু আস্তানার কথা জানতে পেরেছে RAB .
যেখানে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের প্রশিক্ষণ চলছে. এসব তথ্যের ভিত্তিতেই গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পারাবত্য চট্টগ্রামের মিয়ানমার ও মিজোরাম সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় যৌথবাহিনী চালাচ্ছে চিরুনি অভিযান. রাঙ্গামাটির রাইখ্যাং ও বান্দরবনের রুমা উপজেলা তাজিন্ডং মিয়ানমার ও ভারতের মিজোরামে বিস্তীর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিচালিত এ সাঁড়াশি অভিযানে অংশ নেন.
পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাবাহিনীর চারটি রিজিওনের সহস্রাধিক সেনা সদস্য RAB ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যরা. অভিযানটি পরিচালনা করা হচ্ছে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে. সেনাবাহিনী বিমানবাহিনী ও রাবের হেলিকপ্টার গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে এই অভিযানে অভিযানের সময় রাতেও দুর্গম পাহাড়ে উড়ে যাচ্ছে হেলিকপ্টার সাম্প্রতিক সময়ে পরিচালিত অভিযান গুলোর মধ্যে এটাকেই সবচাইতে বড় ধরনের অভিযান বলছে সংশ্লিষ্টরা হঠাৎ করেই পাহাড়ে পরিচালিত এধরণের বড় অভিযানে স্থানীয়রা রীতিমতো তঠস্থ তবে এ সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন গণমাধ্যম wing এর পরিচালক খন্দকার আলমই.
RAB জানিয়েছে নতুন উগ্রসংগঠন জামাতুল আনসারফিল হিন্দিল সদস্যরা পাহাড়ে একটি সশস্ত্র সংগঠনের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এমন তথ্যই তাদের কাছে রয়েছে এর আগে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কিছু উগ্র সদস্য ধরা পড়ার পর তাদের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে
এই তথ্যের ভিত্তিতেই পাহাড়ে চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে ইতিমধ্যেই অতর্কিত হামলা চালিয়ে KNF এর বেশ কয়েকটি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে যৌথবাহিনী.
পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে বিদ্রোহীরা.
নিরাপত্তাজনিত কারণে 18 October থেকে রুমা ও রোয়াঞ্চুড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে. পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে. সন্ত্রাসীদের ধরতে প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়. তাদের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে.
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.