Galaxy |
প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ অবাক দৃষ্টিতে রাতের আকাশের দিকে চোখ তুলে দেখেছে. চাঁদহীন অন্ধকার রাত্রে শহরের আলোক দূষণ থেকে কোথাও চারদিকে খোলা কোন জায়গায় মেঘমুক্ত আকাশের দিকে তাকালে লক্ষ্য করবেন অগণিত নানা রকম উজ্জ্বল্যে তারার মেলা. কোথাও তাদের দেখা বেশি মেলে কোথাও কম, কোনটা খুব ঝলমল করে. আবার কোনটাকে দেখতে বেশ কষ্ট করতে হচ্ছে.
বছরের পর বছর বিভিন্ন দিনে সঠিক সময়ে এদের বারবার দেখা যায়. এটা সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ পর্যবেক্ষণ করছে.
গ্যালাক্সি হলো মহাবিশ্বের অন্যতম প্রধানের স্থাপনা. Galaxy বা ছায়াপথ মহাকর্ষিও শক্তি দ্বারা আবদ্ধ একটি অতি বৃহৎ সুবিশাল ব্যবস্থা যা তারা নক্ষত্রিক গ্যাস ও ধূলিকণা প্লাজমা এবং প্রচুর পরিমাণে অদৃশ্য বস্তু বা dark matter দ্বারা গঠিত. একটা আদর্শ ছায়া পথে দশ million থেকে এক trillion পর্যন্ত নক্ষত্র থাকে.
সবাই একটা কমন মহাকর্ষিয় কেন্দ্রের চারদিকে ঘূর্ণিমান. গ্যালাক্সি গুলো আয়তনে কয়েক হাজার থেকে লক্ষ আলোকবর্ষ হতে পারে. এই বিশাল পরিসরে থাকা কোটি কোটি নক্ষত্র এবং বিপুল ঘরের ভাসমান বস্তুপুঞ্জ. আমাদের সৌরজগতে এমনই একটি গ্যালাক্সি সদস্য অন্ধকার রাতের আকাশে galaxy কে মনে হয় একটা সাদা রঙের পথ আকাশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে গেছে. ষোলোশো দশ সালে গ্যালোরিয় টেলিস্কোপের সাহায্যে রাতের আকাশের এই পথকে প্রথম পর্যবেক্ষণ করেছিলেন এবং তিনি প্রথম জানিয়েছিলেন যে সাদা রঙের এই পদটা তৈরি হয়েছে অসংখ্য উজ্জ্বল এবং অনুজ্জ্বল নক্ষত্র দিয়ে. তারপর থেকে অসংখ্য বাস এবং অসংখ্য পদ্ধতিতে আকাশ পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা অসংখ্য অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন.
পারস্য দেশীয় জ্যোতি বিজ্ঞানী আলসুফে সর্বপ্রথম কুন্ডাল আকার গ্যালাক্সির বর্ণনা করেন. ষোলোশো দশ সালে গ্যালোরি একটি দূরবীন যন্ত্র দ্বারা রাতের আকাশে আকাশগঙ্গা galaxy পর্যবেক্ষণ করেন. যা তখন আকাশে আলোর একটা উজ্জ্বল ব্যান্ড হিসেবে পরিচিত ছিল. তিনি দেখেন যে এটা অসংখ্য ক্ষীণ আলোকবিশিষ্ট, নক্ষত্রের সমন্বয়ে গঠিত. সতেরোশো পঞ্চান্ন সালে ঈমানুয়াল কান্ট right কর্তৃক প্রাচীন একটা গবেষণার উপর ভিত্তি করে কিছু ছবি আঁকার সময় উল্লেখ করেন যে ছায়াপদ গুলো অনেক তারার সমন্বয়ে গঠিত একটি ঘূর্ণামান জ্যোতিষ্ক হতে পারে অবস্থিত নক্ষত্র গুলো মহাকর্ষ বলের মাধ্যমে কেন্দ্রীভূত হয়ে থাকে. এর সাথে সৌরজগতের তুলনা করা যেতে পারে.
যদিও ছায়াপথ গুলোতে তা একটা সুবীরের পরিসরে থাকে. তার এই অনুমানটা সঠিক ছিল. এছাড়াও কান বলেছিলেন রাতের আকাশে দৃশ্যমান নীহারিকাগুলো পৃথক পৃথক ছায়াপত হতে পারে. তার এই শেষের ধারণাটা অবশ্য বর্তমানকালে ভুল প্রমাণিত হয়েছে. আসলে নীহারিকা এবং ছায়াপাত দুটো ভিন্ন বস্তু. 1780 সালে ফরাসি জ্যোতি বিজ্ঞানী chils masia র একটি তালিকা প্রকাশ করেন যাতে 32টা ছায়াপথ অন্তর্ভুক্ত ছিল. সেই ছায়াপদ গুলোকে বর্তমানে ম্যাসিয়র বা এম সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়.
যেমন ধ্রুবমাতা মন্ডলের মেসিয়ার সংখ্যা হল এম thirty one. মেসি আর প্রকৃতপক্ষে109 টা উজ্জ্বলতম নীহারিকার তালিকা তৈরি করেছিলেন. পরবর্তীকালে উইলিয়াম হারসেল তা পরিবর্তন করে 5000 নিহারিকার তালিকা প্রকাশ করেন. যাইব মেশিয়ার তালিকায় 32টা ছায়া পথের নাম ছিল. কিন্তু ছায়াপদ এবং নীহারিকার মধ্যে পার্থক্য জানা না থাকায় আলাদা করা সম্ভব হয়নি.
1785 সালে ইংরেজ জ্যোতি বিজ্ঞানী স্যার উইলিয়াম হার্ট সেল প্রথম আকাশ গঙ্গা ছায়া পথের আকৃতি সম্পর্কে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেন. এর জন্য তিনি আকাশের বিভিন্ন অঞ্চলে দৃশ্যমান তারার সংখ্যা গণনা করেন. পরবর্তীকালে উইলিয়াম হারসে 500 নিহারিকার একটি তালিকা তৈরি করেছিলেন যাতে তার বোন ক্যারোলিন হারসেল এবং ছেলে জন হারসেল সহায়তা করেন. এই তালিকায় অনেকগুলো ছায়াপথ অন্তর্ভুক্ত হয়. 1845 সালে লর্ড্রোস একটি নতুন দূরবীন যন্ত্র গঠন করেন. যার দ্বারা প্রথম উপহিত্যাকার এবং কুন্ডু লকার নিহারিকার মধ্যে পার্থক্য প্রমাণ করেন. এর পাশাপাশি তিনি নীহারিকা গুলোর মধ্যে পৃথক পৃথক আলোর উৎস চিহ্নিত করতে সামর্থ হন. so বন্ধুরা এবার আমাকে কমেন্ট করে জানান ছায়াপাত সম্পর্কে এই তথ্যগুলো কি আপনি আগে থেকে জানতেন?
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.