Hacker |
কম্পিউটার আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে পৃথিবীতে কাজের ধরনের অনেক পরিবর্তন এসেছে. বর্তমানে এমন কোন কাজ নেই যেখানে কম্পিউটার ব্যবহার হয় না. এখন যুদ্ধ হাতিয়ারের শক্তিতে লড়াই হয় না. লড়াই হয় টেকনোলজির দ্বারা. হাই সিকিউরিটির জন্য আমরা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল এবং ওয়েবসাইট এ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকি. তা সত্ত্বেও একদল মানুষ টেকনোলজির ফাঁকফোকর খুঁজে কোনো সাধারণ মানুষের বা কোনো দেশের বা গোয়েন্দা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে নেয়.
এই সমস্ত মানুষগুলোকে বলা হয় হ্যাকার. হ্যাকার প্রধানত দু ধরনের. হোয়াইট হ্যাকার এবং black hacker. White hacker হলেন তারা, যারা আইনের মধ্যে থেকে hack করে. কিন্তু black hacker রা সর্বদা বেআইনি কার্যকলাপ করে থাকে. আর এই black hackers রাই হলো আধুনিক যুগের ত্রাস. তারা মাঝে মাঝে এমন কান্ড কারখানা করেছে যা গোটা পৃথিবীকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল. আজ আপনার সাথে এমনই পাঁচজন ভয়ঙ্কর হ্যাকারের পরিচয় দেবো যাদের ক্রিয়াকলাপ শুনে নিশ্চিত ভাবে আপনি অবাক হবেন.
1 no. জনাথন জেমস ইন্টারনেট দুনিয়ায় জনাথন জেমস কমরেড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়. পনেরো বছর বয়সেই জেমস এমন এমন কাজ করেছিল যেটা সারা পৃথিবীতে সেরা হ্যাকারের তকমা তাকে এনে দিয়েছিল. এত কম বয়সেই সে এমন হ্যাকিং করেছিল যেটা আমেরিকার সরকারকেও ওলট পালট করে দিতে পারত. আমেরিকা সরকারের প্রায় সমস্ত ডেটাবেজ প্রশাসনিক বিভাগের তথ্যও তাঁর হাতে চলে এসেছিল. কিন্তু মেন সমস্যা তখন হয়েছিল যখন জেমস নাসার পুরো নেটওয়ার্ক কে hack করে নিয়েছিল. এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ কোড ডাউনলোড করে নিয়েছিল. এই সমস্যা recover করতে এবং investigate করতে NASA প্রায় একচল্লিশ হাজার ডলার খরচ হয়. NASA তার নেটওয়ার্কের সুরক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে তিন সপ্তাহ তা বন্ধ করে রেখেছিল. দু হাজার সাত সালে আমেরিকান পুলিশ জেমস কে গ্রেফতার করে. দু হাজার আট সালে জেমস জেল থেকে মুক্তি পায়. এবং তারপরই তার রহস্যময় ভাবে মৃত্যু ঘটে.
2 no. কেভিন পলসন অনেক সময় টিভি বা রেডিওতে বিভিন্ন কম্পিটিশন হয় যেখানে দর্শক বা শ্রোতারা ফোন করে সঠিক উত্তর দেয়. এবং তাদের মধ্যে থেকে একজনকে উইনার হিসেবে গণ্য করা হয়. আর এরকমই কোন competition এ যদি আপনার পছন্দের কার প্রাইস হিসেবে থাকে তাহলে আমাদের প্রত্যেকেরই মন চাইবে উইনার হতে. তো সেরকমই উইনার হতে চেয়েছিলেন আমেরিকার বাসিন্দা কেবিন পলসন. কিন্তু তিনি সোজা পথে সেটা না করে পুরো radio স্টেশনের telephone সিস্টেম কে পনেরো মিনিটের জন্য hack করে নিয়েছিলেন. ভাবা যায় এবং ফাইনালি অন্যান্য সমস্ত শ্রোতাদের ফোন কল ডাইভার্ট করে দিয়ে ওই রেডিও কম্পিটিশনের উইনার হয়ে ফোর হুইলারের মালিক হয়েছিলেন. এই ঘটনার পর FBI এর নজর পড়ে পলসনের উপর. কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো পলসন এফবিআই সার্ভারকেও হ্যাক করে নেন. এরপর পলসন একটা সুপারমার্কেটের সিস্টেমকে হ্যাক করে অনেক ক্ষতি করেছিলেন. কিছুদিন পর সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে. এবং একান্ন মাস জেল হয়.জেল থেকে মুক্তির পর পলসন পুলিশের হয়ে কাজ করতে থাকে.
3no. ম্যাকি নন. যিনি সোলো নামেও পরিচিত. সোলো সবচেয়ে বড় মিলিটারি কম্পিউটার হ্যাক করেছিল. দু হাজার এক সালে সোলো US military এবং নাসার server এ ঢুকতে সফল হয়েছিল. আর এটা মনে করা হয় সোলোর এই hacking ছিল সবচেয়ে বড় মিলিটারি কম্পিউটার hacking. আর এই server এ ঢোকার পর তিনি কিছু data software files delete করে দিয়েছিলেন. যেগুলো রিকভার করতে গিয়ে আমেরিকা সরকারকে সাত লক্ষ ডলার খরচ হয়েছিল. তিনি বলেছিলেন এইসব তিনি পয়সার জন্য করেননি. বরং বৈ বিশ্বের প্রাণী. specific এবং UFO সম্পর্কে জানার জন্য করেছিলেন. এবং তিনি জানতেও পেরেছিলেন. গ্যারি এক বয়ানে বলেছেন NASA এর সিস্টেম এ এমন কিছু ভিডিও footage এবং ফটো পাওয়া গেছে. যেখানে পরিষ্কার specific এবং UFO দেখা গেছে.
4 no. অ্যাড্রিয়ান ল্যামো. তাকে হোমলেস হ্যাকারও বলা হয়ে থাকে. প্রচন্ড দারিদ্রতার মধ্যে দিয়ে তার বেড়ে ওঠা। অ্যাড্রিয়ান ল্যামো নিউ ইয়ার নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং মাইক্রোসফ্টের মতো বিশাল কোম্পানির সিকিউরিটি সিস্টেম হ্যাক করেছিল. দারিদ্রতার কারণে নিজের কম্পিউটার না থাকায় সাইবার ক্যাফেতেই কাজ চালিয়ে নিতেন. কোন copy shop এ বসেই বড় বড় কোম্পানির CEO দের ঘুম উড়িয়ে দিতেন. পরবর্তীতে ল্যামোও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে. এবং আমেরিকান কোর্ট তাকে ছয় মাসের জন্য house অ্যারেস্ট ও পঁয়ষট্টি হাজার ডলার জরিমানা করে. মুক্তি পাওয়ার পর সে সাংবাদিকতার কাজ শুরু করে. এবং হ্যাকিং নিয়ে মানুষকে টিপস দিতে থাকে.
5no. কেভিন মিটনিক তার জন্ম উনিশশো তেষট্টি সালে লস এঞ্জেলসে তাকে অন্যান্য নামেও জানা যায়. যেমন the touch side hacker. এছাড়াও তাকে king of the hackers ও বলা হয়. তিনি এমন ভয়ঙ্কর হ্যাকার ছিলেন যে US department of justice থাকে the most wanted কম্পিউটার criminal in US history হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ছোটবেলায় কেবিনের হ্যাকিং এ হাতে খড়ি হয়. ফ্রি বাসের টিকিট কাটার মধ্য দিয়ে. পরবর্তীতে সে বড় বড় কোম্পানির security কে hacking করে. কোম্পানি বলতে Nokia IBM এর মতো বিশাল কোম্পানি. এই সমস্ত কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিক করাতে কেবিনের হাত ছিল. উনিশশো তিরানব্বই সালে FBI কেবিনেট টেলিফোন হ্যাক করার পর অনুসন্ধানে নেমে পড়ে. তারপর আড়াই বছর কেবিন পালিয়ে বেড়ায়. তাকে ধরতে ব্যর্থ হয়. শেষ পর্যন্ত উনিশশো পঁচানব্বই সালের শেষ দিকে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে. পাঁচ বছরের জেল হয়. কেবিন জেল খাটার পর এই কাজ ছেড়ে দেন. এবং মিটনিক সিকিউরিটি কনসালটেন্সি নামক কোম্পানি ওপেন করেন. তিনি সাইবার সিকিউরিটি অ্যাডভাইজারি হিসেবে কাজ শুরু করেন. এবং এফবিআই আইবিএম এর মতো সংস্থার এডভাইসারি হিসেবে কাজ করেন. ফ্রেন্ডস, এই ছিল পাঁচজন ভয়ঙ্কর হ্যাকারদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা.
We respect your freedom of speech.
Please don't write anything that might violate someone else's privacy.